প্রথম অঘটন, সুইজারল্যান্ড ১, স্পেন ০
১৭ জুন ২০১০আসলে স্পেনের খেলা দেখে মনে হয়েছে, তারা পুরো মাঠ জুড়েই দুর্দান্ত খেলে যায়, কিন্তু পেনাল্টি বক্স পর্যন্ত গিয়ে তাদের যেন কি হয়৷ কে যে আসল শটটি নেবেন তা যেন স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের বুঝতে সময় লেগে যায়৷ পুরো ম্যাচ জুড়েই স্পেন একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেছে সুইজারল্যান্ডের সীমানায়৷ কিন্তু গোল পোস্ট বরাবর সেরকম শট তারা কমই নিতে পেরেছে৷ অন্যদিকে টিপিক্যাল ইউরোপিয়ান স্টাইলে খেলে গিয়েছে সুইজারল্যান্ড৷ স্পেনের আক্রমণের পর তারা কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়েছে এবং গোলটিও তারা আদায় করেছে ঠিক এইভাবে৷ ৫২ মিনিটের সময় একটি লং পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের সামনে বল পেয়ে যান এরেন ডেরডিয়ক৷ এসময় ডিফেন্ডার পিক এবং গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াস তাঁকে ঠেকাতে গেলেও ব্যর্থ হন৷ চলন্ত বলে শেষ মুহূর্তে টোকা দিয়ে বলটি জালে ঢুকিয়ে দেন সুইজারল্যান্ডের ফার্নান্দেজ৷
গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে স্প্যানিশ খেলোয়াড়রা৷ কোচ ভিসেন্তে ডেল বস্ক ৬২ মিনিটের সময় ফার্নান্দো টরেসকে মাঠে নামান৷ কিন্তু দিনটি আসলে স্পেনের ছিল না, নইলে ৭০ মিনিটের সময় ডি বক্সের বাইরে থেকে আলোনসোর নেওয়া শটটি ক্রসবারে কেন লেগে ফেরত আসবে? অবশ্য সুইজারল্যান্ডেরও এমন একটি সুযোগ এসেছিল খেলার শেষ দিকে৷ ডেরডিয়কের নেওয়া আলতো শটটি ক্যাসিয়াসকে পরাজিত করলেও তা সাইডবারে লেগে ফেরত আসে৷
ম্যাচ শেষে দারুন উচ্ছসিত সুইস খেলোয়াড়রা৷ কারণ স্পেনের মত হট ফেভারিটকে এভাবে হারানোটা সহজ নয়৷ কোচ অটমার হিট্জফেল্ড বললেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক বিজয়৷ আমার মনে হয় গত ১০৫ বছরে সুইজারল্যান্ড স্পেনকে হারাতে পারেনি৷ তাই আমার দলের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক অর্জন৷'
অন্যদিকে ফেভারিট স্পেনের জন্য এখন বিশ্বকাপ একটু কঠিন হয়ে গেল৷ এমনটা আশা করেননি স্বীকার করেছেন স্প্যানিশ কোচ ডেল বস্ক৷ এরপরও তিনি মনে করছেন, খেলায় তাদের প্রাধান্যই ছিল৷ বিশ্বকাপ এখনই শেষ হয়ে যায়নি, তাও মনে করিয়ে দিলেন স্পেনের কোচ৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই