প্রতিমা বিসর্জনে গিয়ে মৃত আট
৬ অক্টোবর ২০২২প্রতি বছরের মতো এবারও উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। সেই মতো বুধবার সন্ধে থেকে বিসর্জনের কাজ শুরু হয়। মাল নদীর ধারে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সন্ধে আটটা নাগাদ আচমকাই নদীতে হড়পা বান আসে। আর তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বান যখন আসে, তখন অন্তত ১০টি ট্রাকে করে বহু মানুষ প্রতিমা নিয়ে এসেছিলেন বিসর্জনের জন্য। কেউ কেউ জলে নেমে বিসর্জনের ব্যবস্থা করছিলেন। বান এসে সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ভেসে যায় বেশ কয়েকটি ট্রাকও।
ঘটনার পরেই প্রশাসন উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়, বানের জলে ভেসে গিয়ে মাল নদীর একটি মাঝে একটি দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। প্রায় ২০ জন ওই দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানানো হয়। রাতে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। হাসপাতালেও বেশ কিছু মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ। প্রশাসন জানিয়েছে, বিসর্জনের জন্য ভাসানের ঘাটে যথেষ্ট আলো লাগানো হয়েছিল। কিন্তু বাকি জায়গায় আলো না থাকায় রাতে উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়েছে। সকালেও উদ্ধারকাজ চলছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও এলাকায় পৌঁছেছেন।
ঘটনাস্থলে রাতেই পৌঁছে গেছিলেন মন্ত্রী বুলু চিকবড়াইকও। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। উদ্ধারকাজে অসামরিক প্রতিরক্ষাবাহিনীকেও নিয়োজিত করা হয়েছে বলে জেলা শাসক জানিয়েছেন।
যমুনাতেও দুর্ঘটনা
পশ্চিমবঙ্গেরমতো আগ্রাতেও বিসর্জনে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যমুনাতে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে যমুনার জলে তলিয়ে যায় এক নাবালক। আরো দুই যুবক নিখোঁজ। তাদের খোঁজ চলছি বলে প্রশাসন জানিয়েছে। মৃতের বয়স ১৫। সিকান্দ্রা জেলায় তার বাড়ি। বাকি দুই নিখোজের একজনের বয়স ১৯ এবং একজনের ১২। রাত পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পুলিশের চোখের সামনে কীভাবে তারা জলে নিখোঁজ হয়ে গেল, সে প্রশ্ন উঠছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার পত্রিকা)