প্রগতির শিকার: ভারতে ফুটপাথের দাঁতের ডাক্তার
ভারতে রাজপথের দাঁতের ডাক্তাররা প্রগতির শিকার হতে চলেছেন৷ বিশেষ করে বড় শহরগুলোর মানুষজন ক্রমেই ‘হাইজিন’ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছেন৷ তবুও ফুটপাথের দাঁতের ডাক্তাররা এখনও উধাও হননি৷
বাসস্টপের দাঁতের ‘ক্লিনিক’
১৪ বছর আগে আল্লাহ বক্স তাঁর ছেলে, ভাই আর ভাগ্নেকে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের এই বাসস্টপটির কাছে তাঁদের ‘ডেন্টাল ক্লিনিক’ চালু করেন৷ এখানে দিনে ২০ জন পর্যন্ত রোগীর চিকিৎসা করা হয়৷
‘হাঁ করুন!’
‘গরীব মানুষদেরও ভালো দাঁত চাই,’ বলেন আল্লাহ বক্স৷ তবে ডিগ্রিধারী ডেন্টিস্টদের সমিতির বক্তব্য হলো, লাইসেন্সপ্রাপ্ত দাঁতের ডাক্তাররা গরীব রোগীদের কাছ থেকে অনেক কম ‘ফি’ নিয়ে থাকেন৷ কাজেই ফুটপাথের ডাক্তারদের বস্তুত কোনো প্রয়োজন নেই৷
হাসতে গেলে দাঁত চাই
ডেন্টাল সিমেন্ট দিয়ে তৈরি এই ধরনের দাঁতের পাটি ভারত এবং চীনে তৈরি করা হয়৷ এক সেট দাঁতের দাম ইউরোর মাপে মাত্র দশ ইউরো, কাজ দেয় অন্তত চার বছর৷
দাঁতের রকমফের
নানা ধরনের দাঁতের পাটি অথবা একক দাঁত পাওয়া যায়৷ এ রকম একটি দাঁতের দাম এক ইউরোর চেয়ে কম৷ তবে নতুন দিল্লির মতো বড় শহরে সমৃদ্ধশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণি আজ দাঁতের চিকিৎসা করাতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ চায়৷
পটু হাত, কিন্তু সরঞ্জামের অভাব
আল্লাহ বক্সের সুযোগ্য পুত্র ইমরান পাশা একটি দাঁতের পাটি বসাতে চলেছেন৷ বাবার মতোই তাঁর দাঁতের ডাক্তার হিসেবে কোনো অনুমোদিত প্রশিক্ষণ নেই৷ দাঁতের ডাক্তারি সংক্রান্ত ১৯৪৮ সালের একটি আইনের কল্যাণে আল্লাহ বক্সের মতো মানুষেরা তাঁদের পেশা চালাতে পারছেন৷
রাস্তার ক্লিনিকের দিন ফুরোয়নি
ভারতে প্রতিবছর ৩০ হাজার দাঁতের ডাক্তার ডিগ্রি নিয়ে বেরোন, কিন্তু শহরাঞ্চলে প্রতি দশহাজার অধিবাসীর জন্য থাকেন মাত্র একজন দাঁতের ডাক্তার; গ্রামাঞ্চলে প্রতি আড়াই লাখ মানুষের জন্য একজন! কাজেই আল্লাহ বক্সের মতো ‘ডেন্টাল ওয়ার্কার’-দের দিন এখনও ফুরায়নি৷
দাঁত থাকলে দাঁতের মূল্য বোঝা যায়
নতুন দাঁত লাগানোর পর শক্ত কিছু একটা কামড়ে দেখতে হয়, দাঁত ঠিকমতো বসেছে কিনা!