1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রকৃতির ছবি তোলেন স্টেফান ফর্স্টার

৫ আগস্ট ২০২০

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা থেকে প্রকৃতির ছবি তোলাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের স্টেফান ফর্স্টার৷ তিনি সাধারণত এমন জায়গার ছবি তুলতে পছন্দ করেন যেখানে খুব বেশি মানুষ যায়নি৷

https://p.dw.com/p/3gQYk
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa/Zoonar

সেসব জায়গার প্রতি পর্যটকরা বেশি আকৃষ্ট হতে পারেন ভেবে তিনি সেই স্থানগুলোর নাম উল্লেখ করেন না৷

ফর্স্টার বলেন, ‘‘আমার কাজের মধ্য দিয়ে আমি সবাইকে পৃথিবী আগে কেমন ছিল, ভবিষ্যতে কেমন হবে এবং কেমন থাকা উচিত, তা দেখাতে চাই৷ আমার কাছে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, আমি যেন প্রকৃতিকে একেবারে তার আসল রূপে দেখাতে পারি৷’’

ভালোবাসাকে পেশা বানিয়েছেন তিনি

সুইজারল্যান্ডের এই ফটোগ্রাফার ছবি তোলার জন্য বছরের প্রায় সাত মাস বাইরে থাকেন৷ তিনি বলেন, ‘‘মানুষ অনেক সময় জানতে চায়, আমি কীভাবে এত সুন্দর করে ল্যান্ডস্কেপের ছবি তুলি৷ এ বিষয়ে আমার উত্তর সবসময় একই থাকে৷ আপনি একটা এলাকা যত ভালোভাবে চিনবেন, তত ভালোভাবে আপনি ঐ এলাকার সুন্দর ছবি তুলতে পারবেন৷’’

৩৪ বছর বয়সি এই ফটোগ্রাফার সুইজারল্যান্ডের ভিল শহরে থাকেন৷ প্রকৃতিকে নিজের মতো করে অনুভব করা- এই ছিল ফর্স্টারের ছোটবেলার ভালোবাসা৷ ফর্স্টার বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সবারই একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে যখন তার নিজেকে খুব সুখী মনে হয়৷ আমার ক্ষেত্রে সেই সময়টা হচ্ছে তখন, যখন আমার পেছনে দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়, আর আমি বনের দিকে ছুটে যেতে পারি৷ এই বন একসময় আইসল্যান্ড হয়ে যায়৷ আমার বয়স যখন ১৮ ছিল তখন আমি সেখানে গিয়েছিলাম৷ সেই স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তখন আমার কাছে শুধু ক্যামেরা ছিল৷ এভাবে ছবি তোলার বিষয়টি এসেছে৷ আসলে প্রকৃতির প্রতি আমার ভালোবাসার বাই-প্রোডাক্ট হচ্ছে ফটোগ্রাফি৷’’

যতটা সম্ভব পৃথিবীকে আদিম রূপে দেখাতে চান এই প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার৷ তিনি মাঝেমধ্যে লেন্স ফিল্টার ব্যবহার করেন, ছবি সম্পাদনাও করেন, কিন্তু কখনও রং নিয়ন্ত্রণ করেন না৷

উত্তর আইসল্যান্ডের অমসৃণ অঞ্চল তার খুবই প্রিয়৷ তাই বারবার সেখানে ফিরে যান তিনি৷

‘আইল্যান্ডস অফ দ্য নর্থ’ নামে একটি ছবির বই প্রকাশ করেছেন তিনি৷ গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ে, ফ্যারো আইল্যান্ডস এবং অবশ্যই আইসল্যান্ডের ছবি তুলতে প্রায় ৮০ বার ঐ অঞ্চলে গেছেন তিনি৷

এই বইয়ের জন্য তাকে ছয় হাজার ছবি থেকে ১৬০টি ছবি বেছে নিতে হয়েছে৷ কঠিন কাজ৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা আমার কাজের ভালো লাগার সময় নয়৷ ভালো লাগার সময় হচ্ছে বাইরে থাকা৷ ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমি একেবারেই আবেগী নই৷ অফিস, স্টুডিওতে তালা লাগিয়ে, মোবাইলে এয়ারপ্লেন মোড অন করে আমি ছবি দেখা শুরু করি৷ এক্ষেত্রে আমি বেশি সময় নেই না৷ যদি কোনো ছবি আমার প্রথমেই ভালো না লাগে, তাহলে আমি আর সেটা দেখি না৷’’

বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ ছবি ড্রোন দিয়ে তোলেন ফর্স্টার৷ এর ফলে কোনো জায়গা নষ্ট না করেই সেখানকার ছবি তোলা যায়৷ ছবি তুলতে ফর্স্টার প্রায়ই এমন জায়গায় যান যেখানে আগে কেউ যায়নি৷ পর্যটকদের ভিড় এড়াতে তিনি ছবি তোলার জায়গার নাম উল্লেখ করেন না৷ কারণ তার কাজ হলো, পৃথিবী কত সুন্দর, শুধু তা তুলে ধরা৷

আন্দ্রেয়াস লাইক্সনারিং/জেডএইচ

২০১৫ সালের ছবিঘরটি দেখুন...