প্রকৃতিপ্রেমে সাত তারকা
প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় সোচ্চার গোটা বিশ্ব৷ পিছিয়ে নেই তারকাও৷ ধনকুবের থেকে সেলিব্রিটি সবাই আছেন এই মিছিলে৷ জনাকয়েক অভিনেতা, মডেল কিংবা রাজপুত্তুর আছেন, যাঁদের কাছে পরিবেশ রক্ষা শুধু ট্রেন্ড নয়, তারও বেশি কিছু৷
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও: একজন পরিবেশপ্রেমী
লোক দেখানো জনপ্রিয়তা নয়, প্রকৃত অর্থেই পরিবেশের জন্য কোমর বেধে নেমেছেন এই অভিনেতা৷ ১৯৯৮ সালে নিজে উদ্যোগে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন পরিবেশ রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ এই তারকা৷ নিরামিষভোজী এই অভিনেতা পরিবেশ নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে অর্থায়নও করেছেন৷ জলবায়ু রক্ষায় ২০১৪ সাল থেকে জাতিসংঘের ‘শান্তি দূত’ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ডিক্যাপ্রিও৷
এমা ওয়াটসন: লাল গালিচাই সব নয়
২৯ বছরের এই তরুণী ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের চলচ্চিত্র দিয়ে কুড়িয়েছেন খ্যাতি৷ সিনেমার প্রচার কিংবা চলচ্চিত্র উৎসব যেখানেই যান না কেন, প্রচারণা চালান ‘টেকসই ফ্যাশন‘ নিয়ে৷ ব্যবহৃত প্লাস্টিক, পুরনো কাপড় আর সিল্ক দিয়ে নিজের জন্য পোশাক বানান৷ আর সেটি নিয়েই যেকোনো জমকালো আয়োজনে হাজির হন এমা৷
অলাফুর এলিয়াসন: মুছে যাক অন্ধকার
অনেক বছর ধরেই প্রকৃতি নিয়ে কাজ করছেন এই ড্যানিশ-আইসল্যান্ডিক শিল্পী৷ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতন করতে হিমবাহের বরফখণ্ড নিয়েও তৈরি করেছেন শিল্পকর্ম৷ ২০১২ সালেও তাঁর একটি কাজ বেশ নজর কেড়েছে৷ আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের মানুষের জন্য সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন ‘লিটল সান’ নামের একটি বিশেষ বাতি৷
প্রিন্স চার্লস: জৈব কৃষির রাজা
সিংহাসনের শ্বাশত এই উত্তরাধিকার নিজেকে সঁপেছেন জৈব কৃষিতে৷ গ্রেট ব্রিটেনে ‘প্রাকৃতিক প্রতিশোধ‘ হিসেব খ্যাত ‘ম্যাড কাউ রোগ‘ বা বিএসই-এর প্রাদুর্ভাবের পরই তিনি জৈব কৃষিতে ঝুঁকেছেন৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মত বিরোধ সত্ত্বেও জিনগত তারতম্যে তৈরি খাবারের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন তিনি৷
এডওয়ার্ড নর্টন: সূর্যই শক্তি
পরিবেশবাদী আইনজীবীর সন্তান হিসেবে এই অভিনেতাও নিশ্চিত করতে চান প্রকৃতির সুরক্ষা৷ ২০০৩ সালে হলিউডি বাড়িগুলিতে সৌরবিদ্যুত প্রচলনে উঠে পড়ে লাগেন তিনি৷ সেখানেই ক্ষান্ত হলেন না৷ তারপর আফ্রিকার ইকোসিস্টেম রক্ষায় দাঁড় করালেন একটি সংগঠন৷ যা ওই এলাকার আদিবাসীদের স্বস্তি এনে দেয়৷ ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্যের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি৷
জিজেলে বিন্ডেন: রেইনফরেস্ট রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ
২০০৪ সালের কথা৷ নদী দূষণের ফলে আমাজনের আদিবাসীদের দুর্দশা নিজ চোখে দেখেছিলেন তিনি৷ ওই ঘটনা বেশ নাড়া দিয়েছিল তাঁকে৷ তারপর থেকে পানি ও বনভূমি সংরক্ষণে বেশ তৎপর হয়ে উঠেন তিনি৷ ২০০৯ সাল থেকে জাতিসংঘের হয়ে পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন৷ কিংবদন্তীতুল্য ফ্লিপ-ফ্লপ ব্র্যান্ড ‘আইপেনেমার‘-এর ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন তিনি৷ সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করেন পরিবেশ সুরক্ষায়৷
কেভিন কস্টনার: জল ছাঁকিয়ে
অভিনয়, প্রযোজনা, গান কিংবা নাচ-সব কাজেই দক্ষ তিনি৷ সঙ্গে পরিবেশ প্রেমেও ঘাটতি নেই৷ সেন্ট্রিফিউজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগও করেছেন কয়েক মিলিয়ন ইউরো৷ বিজ্ঞানী ভাইকে নিয়ে তেলের কারণে দূষিত পানি শোধনে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস৷ ২০১২ সালে মেক্সিকো উপসাগরে তেল মিশে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তাঁর এই কর্মযজ্ঞ৷