1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্যারিসের হামলাকারী চেচনিয়ার

১৩ মে ২০১৮

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ছুরি দিয়ে হামলাকারীর জঙ্গি যোগসাজশ ছিল বলে ধারণা করছে দেশটির পুলিশ৷ হামলাকারী চেচেন বংশোদ্ভূত৷ তার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2xcuj
Paris Tote und Verletzte bei Messerattacke
ছবি: picture alliance/AP/T. Camus

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ফ্রেঞ্চ ঐ তরুণের জন্ম ১৯৯৭ সালে, চেচনিয়ায়৷ শনিবার সন্ধ্যায় তিনি প্যারিসের জনাকীর্ণ পর্যটনকেন্দ্র কেন্দ্রীয় অপেরা হাউস ও ল্যুভ্রে মিউজিয়ামের মাঝামাঝি একটি জায়গায় হঠাৎ ছুরি নিয়ে হামলে পড়েন সাধারণ মানুষের ওপর৷ একজনকে হত্যা করেন এবং চারজনকে আহত করেন৷

পুলিশ এসে গুলি করে হত্যা করে হামলাকারীকে৷ তার সঙ্গে কোনো পরিচয়পত্র ছিল না৷
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার ফিলিপ জানান যে, পুলিশ ঘটনা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, এবং পরের নয় মিনিটের মধ্যে হামলাকারীকে হত্যা করে৷
‘‘তা না হলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ত৷'' বলেন তিনি৷
রোববার সকালে তার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে৷ এপি জানিয়েছে যে, হামলাকারীর আগে কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড নেই৷
ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ টুইটারে এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ফ্রান্সকে আবারো রক্তপাতের চড়ামূল্য দিতে হলো, কিন্তু অপরাধীদের এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়া হবে না৷''


এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গিদের কার্যকলাপ মনিটরিং গ্রুপ সাইটের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট৷ তবে কোনো প্রমাণ তারা উপস্থাপন করেনি৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা এপিকে জানিয়েছেন যে, হামলাকারী শুরুতে ‘আল্লাহু আকবার' বলে চিৎকার করেন৷ উপস্থিত জনতা তখন রেস্টুরেন্ট ও বারগুলোর দিকে দৌঁড়াতে শুরু করেন৷
‘‘আমি অর্ডার নিচ্ছিলাম৷ প্রথমে দেখলাম এক তরুণী উদভ্রান্তের মতো রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়েন৷'' বলছিলেন একটি কোরিয়ান রেস্টুরেন্টের ওয়েটার জনাথন৷
তিনি জানান যে, ঐ তরুণীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল, এবং একজন তরুণ তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন৷ তখন হামলাকারী সরে পড়েন৷
মিলান নামের আরেক তরুণ প্রত্যক্ষদর্শী জানান যে, তিনি ঐ নারীর ঘাড় ও পা থেকে রক্ত ঝরতে দেখেন৷
‘‘ফায়ারম্যানরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছিলেন৷ আমি তখন দু-তিনটি গুলির শব্দ শুনতে পাই৷''
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, নিহত যুবকের বয়স ২৯ বছর৷ এছাড়া গুরুতর আহত ৩৪ বছর বয়সি এক যুবক ও ৫৪ বছর বয়সি এক নারীকে সাথে সাথেই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল৷ পরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান যে, বিপদ কেটে গেছে৷ তাঁরা বেঁচে আছেন৷

জেডএ/ডিজি (এপি)