1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোস্টার যার হাতে শিল্প হয়ে ওঠে

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ইওজেফ বয়েস-এর ছাত্রী কাটারিনা সিফ্যার্ডিং-এর শিল্পকলা মানে প্ল্যাকার্ড সাইজের ছবি, যেখানে আলোকচিত্র ও ছাপার হরফে কোনো না কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2kfNL
Käthe-Kollwitz-Preis geht an Katharina Sieverding
ছবি: picture alliance/dpa/F.Gambarini

যাঁর হাতে পোস্টারই শিল্প

কাটারিনা সিফ্যার্ডিং-এর শিল্পকলা আকারে বড়, খুবই বড়: কিন্তু এ ধরনের ছবিই তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে৷ তাঁর ছবির বাণী কখনো পীড়াদায়ক, আবার কখনো প্ররোচনামূলক কিংবা শুধুই অদ্ভুত৷ কাটারিনা গত ৫০ বছর ধরে সমাজকে সচেতন করে তোলার কাজে তাঁর শিল্পকলাকে ব্যবহার করছেন৷

কাটারিনা বলেন, ‘‘দুনিয়ায় যা কিছু ঘটে, আমি তা নিয়ে প্রতিদিন চিন্তাভাবনা করি৷ আমার শিল্পকলার একটা রাজনৈতিক দিক আছে বলে আমার ধারণা৷''

তাঁর সবচেয়ে পরিচিত শিল্পকর্মগুলির মধ্যে পড়ে ‘ডয়েচলান্ড ভিয়র্ট ডয়চার' – অর্থাৎ ‘জার্মানি আরো জার্মান হয়ে উঠছে'৷ ১৯৯০ সালে ‘ডি সাইট' পত্রিকার এই শীর্ষকটিকে নিয়ে ১৯৯৩ সালে কাটারিনা যে প্ল্যাকার্ডটির নকশা করেন, তাতে পুনরেকীকৃত জার্মানিতে উগ্র দক্ষিণপন্থি কার্যকলাপ বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে৷ 

কাটারিনার বক্তব্য: ‘‘আমি যে এখানে স্বভাবতই রাজনৈতিক মতামত ও ধ্যানধারণার রাজত্বে এসে পড়ি, এ ধরনের শিল্পকর্মের প্রকৃতিই হলো তাই৷ অপরদিকে রাজনৈতিক প্রচারণার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই৷''

বার্লিনের শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে কাটারিনা সিফ্যার্ডিং-এর সর্বাধুনিক ইনস্টলেশনটির নাম ‘টেস্টকাট্স': এখানে যে সাদাকালো ছবিগুলি বদলে বদলে যাচ্ছে, সেগুলিতে ৭২ বছর বয়সি কাটারিনার নিজের জীবনকাহিনির একাংশ ধরা আছে৷ এককালে ইওসেফ বয়েস-এর কাছে ভাস্কর্য শিখেছিলেন কাটারিনা – তাঁর জীবনদর্শনেও যার ছাপ রয়ে গেছে৷

কাটারিনা বলেন, ‘‘মনোভাব বলতে একচেটিয়া যা কিছু, যেরকম স্বীকৃতি বা সাফল্য....তাতে আমার  কোনো আগ্রহ নেই৷ কেননা তাহলে বার বার সেই পুরনো ছকে ফিরে যেতে হয়৷''

দুনিয়া সম্পর্কে কাটারিনার অনেক আপত্তি থাকলেও তিনি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট; কাজেই তাঁর পক্ষে এই মনোভাবই স্বাভাবিক৷

ক্রিস্টিয়ান টিৎসে/এসি

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান