1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশ যখন ‘বন্ধু' হলো....

১৬ আগস্ট ২০১৬

ঢাকার বসুন্ধরা সিটির শর্মা হাউজে এক গৃহিণী গিয়েছিলেন পছন্দের খাবার খেতে৷ খেয়ে বিল পরিশোধ করতে গিয়ে দেখেন ২৫ টাকার জিনিসের দাম ৫০ টাকা! ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/1Jitv
বাংলাদেশের পুলিশ
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই অসাধু ব্যবসায়ীদের দাপট৷ ক্রেতারা অসহায়, কোণঠাসা৷ জোটবদ্ধ অসাধুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয়না৷ প্রতিবাদীকেই বরং অপদস্থ হয়ে ফিরতে হয়৷ কয়েকদিন আগে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের শর্মা হাউজে গিয়ে ভাষা আহমেদকেও একরকম অপদস্থই হতে হচ্ছিল৷ ২৫ টাকার খাবারের দাম ৫০ টাকা রেখে তাঁকে বিল দিতেও অস্বীকার করেন শর্মা হাউসের কর্মচারীরা৷ দাম বেশি রাখা এবং বিল দিতে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি ভিডিওতে ধারণ করে পরে ফেসবুকে শেয়ার করা হয়৷ সেই স্ট্যাটাসের কারণেই শর্মা হাউসের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার জন্য গড়া ‘ভ্যাট ইন্টেলিজেন্স মূসক গোয়েন্দা' নামের একটি সংস্থা৷

ফেসবুকে ভিডিওসহ স্ট্যাটাস দেয়ার পর তা দেখে অনেকেই বিষয়টি ‘ভ্যাট ইন্টেলিজেন্স মূসক গোয়েন্দা'-কে জানায়৷ তারপর একে একে শর্মা হাউজের ছয়টি শাখায় অভিযান চালিয়ে সেই দোকানটি চিহ্নিত করে পুলিশ৷ অসাধু ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে তখন এগিয়ে আসে মালিক সমিতি৷ দোকান কর্তৃপক্ষও নানান কায়দায় দোষ চাপাতে থাকে অভিযোগকারী ক্রেতার ওপর৷

কিন্তু পুলিশ অনড় থাকায় কিছুতেই কাজ হয়নি৷ পুরো বিষয়টি নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সচিত্র স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে জানিয়েছে ‘ভ্যাট ইন্টেলিজেন্স মূসক গোয়েন্দা' ৷ স্ট্যাটাসে জানানো হয়, মূসক মূল্য পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে বললে ম্যানেজার বলে বিলটি মালিকের কাছে৷ ধমক দেয়ার পরে স্বীকার করে যে শর্মা হাউসের ওই শাখাটি সব বিক্রয়ের জন্য ইসিআর মেশিন ব্যবহার করেনা৷ ইসিআর মেশিনের সেদিনের বিক্রয় তথ্য প্রিন্ট দিতে বলায় কর্তৃপক্ষ টালবাহানা শুরু করে৷ এ অবস্থায় শুরু হয় সাঁড়াশি তল্লাশি৷ ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার করার অনেক প্রমাণ বেরিয়ে আসে তারপর৷

সবশেষে ফেসবুক স্ট্যাটাসে মূসক লিখেছে, ‘‘যারা অভিযোগ করেছেন তাদের আশ্বস্ত করছি, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ হিসেব নিকেশ সম্পন্ন করে মামলা দায়ের করা হবে৷''

ক্রেতাসাধারণকে আশ্বস্ত করতে মূসক আরো লিখেছে, ‘‘ এ দেশটা আমাদের৷ মগের মুল্লুক না৷ এটা লোভী লুটেরা মাস্তানদের অভয়ারণ্য হতে পারে না৷ আসুন ভাষা আহমেদের মতো সবাই যার যার চোখে দেখা অনিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি৷ ভ্যাট গোয়েন্দা টিম আপনাদের সাথে আছে৷''

দোষীদের বিরুদ্ধে মূসকের অভিযান দেখে অভিযোগকারীও খুশি৷ ভাষা আহমেদের স্বামী খুশি হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েই ধন্যবাদও জানিয়েছেন মূসককে

এসিবি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য