পুলিশের ক্ষমতাবৃদ্ধি মানতে চান না ব্রিটেনের আন্দোলনকরীরা
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে আরো বেশি ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে ব্রিটেনের প্রস্তাবিত এক আইনে৷ এর প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আন্দোলন চলছে দেশটিতে৷
‘কিল দ্য বিল’
এমন নামেই পরিচিত আন্দোলনটি৷ নানা প্রতীকে পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা৷ এই ছবিটি লন্ডনে গত তিন এপ্রিলের একটি সমাবেশ থেকে তোলা৷
পুলিশের ক্ষমতা
আন্দোলনকারীদের একজন মাটিতে পড়ে আছেন৷ আরেকজনকে ধরাশায়ী করার চেষ্টায় পুলিশ৷ প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে এক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে৷ যেমন, আন্দোলনের সময় এমনকি শব্দের মাত্রা পর্যন্ত ঠিক করে দিতে পারবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী৷ কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে তাকে আড়াই হাজার পাউন্ড জরিমানা দিতে হবে৷
একজোট
এই আন্দোলনে একজোট হয়েছে ব্রিটেনের বিভিন্ন দল ও সংগঠন৷ জলবায়ুকর্মী ও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের আন্দোলনকারীরাও প্রস্তাবিত আইনের বিরোধিতা করে মাঠে নেমেছেন৷ লন্ডন ছাড়াও প্রতি সপ্তাহেই বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে৷
প্রতিবাদের অধিকার
আন্দোলনকারীদের যুক্তি, প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা ঘটে ৷ কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে পুলিশকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাতে সহজেই তারা প্রতিবাদকারীদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে পারবে৷
আন্দোলনে গতি
গত মার্চে ৩৩ বছর বয়সি এক নারীকে লন্ডনের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়৷ এই হত্যায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ঘটনার পর আইনটির বিরুদ্ধে আন্দোলন নতুন গতি পেয়েছে৷ বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে৷
লেবার পার্টির সমর্থন
আইনের বিপক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির বিভিন্ন সদস্য৷ তিন এপ্রিল লন্ডনে একটি সমাবেশে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যের নীচে দলটির সাবেক নেতা জেরেমি করবিনকে বক্তৃতা দিতে দেখা যাচ্ছে৷
গণতন্ত্রের মৃত্যু!
এই আন্দোলনকারী মনে করেন আইনটি পাস হলে ব্রিটেনের গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটবে৷ মৃত চরিত্রের পোশাক পরে প্ল্যাকার্ডে এমন বার্তাই লিখে এনেছেন তিনি৷
প্রক্রিয়া
বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনা সত্ত্বেও বিলটি এরই মধ্যে ব্রিটেনের পার্লামেন্টের একটি ধাপ পেরিয়েছে৷ তবে চূড়ান্তভাবে পাসের আগে সংসদ কমিটি সেটি পরীক্ষা করবে এবং হাউস অব কমন্সে এ নিয়ে বিতর্ক হবে৷