1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশকে জিম্মি হতে হলো এক ঝাঁক মৌমাছির কাছে

২০ আগস্ট ২০১০

জীর্ণ একটি লরি থেকে বেরিয়ে এলো হাজার হাজার মৌমাছি৷ পুলিশ বেচারা অসহায়৷ মৌমাছির ভয়ে তিনঘন্টা ধরে আটকা পড়ে থাকতে হলো গাড়ির মধ্যে৷

https://p.dw.com/p/Os7f
পুলিশের গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে মৌঁমাছির দলছবি: AP

ঘটনাটি ঘটেছে অ্যামেরিকার উত্তর ক্যারোলিনার ব়্যালে শহরের কাছে৷ সেদিন সকালে পুলিশ ব্র্যান্ডন জেকিন্স রাস্তার পাশে একটি ট্রাককে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন৷ ট্রাকটি কেন ঐখানে দাড়িয়ে আছে তা দেখতে গেলেই ঘটে বিপত্তি৷ ষাটটি মৌচাক ছিলো সেখানে৷ এগুলোকে ট্রাকে করে মধুচাষের জন্য ফল বাগানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো৷

মৌমাছি যাতে মৌচাক থেকে বেরিয়ে না আসে সেজন্য সাধারণত রাতেই এদেরকে এভাবে আনা নেওয়া করা হয়৷ কিন্তু ঘটনার দিন দিনের আলো ও গরম পেয়ে ওগুলো মৌচাক ভেঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে৷

BdT Deutschland Hummel und Sonnenblume in Ravensburg
মধু্চাষের জন্য মৌমাছিকে নিয়ে যাওয়া হয় একজায়গা থেকে আরেক জায়গায়ছবি: AP

ঐ শহরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মুখপাত্র ফিলিস স্টিভেন্স বলছেন, ‘রানী মৌমাছিটিকে ছাড়া মৌমাছির ঝাঁকটি আসলে বুঝে উঠতে পারেনি কি করবে! আশেপাশে যে জিনিসগুলো ছিলো তারমধ্যে পুলিশের গাড়িটাই ছিলো বড়৷ যে কারণে গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে মৌমাছির ঝাঁক৷'

ত্রিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার মৌমাছি পুলিশের গাড়িটিকে বাইরে থেকে ছেয়ে রেখেছিল৷ ফলে জেনকিনস সেখান থেকে বাইরে আসার ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না৷ তিনি তাঁর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ফোন করেন৷ তিনি কোথায় কী অবস্থায় আটকে পড়ে আছেন জানান৷

Imker mit Honigbienen
অবশেষে আবারও তৈরি হয় মৌচাকছবি: AP

স্টিভেন্স বললেন, ‘আমাদের খুব সাবধানের সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে৷ আশেপাশে অনেক শিশু ছিলো৷ নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌমাছি বিশেষজ্ঞ জেনিফার কেলার কে আমরা ডেকেছিলাম সাহায্য করার জন্য৷'

কেলারও বলছেন, ‘এর আগে আমি কখনও এরকমটি দেখিনি৷ মৌমাছিরা গাড়িটির ওপর এমনভাবে বসেছিলো যে দেখে মনে হচ্ছিলো ওটা ওদের বিশ্রামের জায়গা৷'

কেলার মৌমাছিদের ওপর চিনিপানি ছিটিয়ে দেন৷ তখন মৌমাছিরা একে অপরের শরীর থেকে চিনিপানি খেতে শুরু করে৷ এভাবে তারা কাছাকাছি আসতে থাকে এবং অবশেষে আবারও মৌচাক তৈরি হয়৷ শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হলেন জেনকিনস৷

আর সেসময় উদ্ধারকারী কেলার বললেন, ‘আমাকে একটা মৌমাছি হুল ফুটিয়ে দিয়েছে৷ অবশ্য সেটা আমারই দোষ৷ আমি সেটাকে মারতে চেষ্টা করেছিলাম৷'

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়