1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুরনো সিনেমার পোস্টার হল আর্ট

৭ জুন ২০১০

একে তো বিশ্ব জুড়ে বলিউডের রমরমা৷ তার উপর প্রবাসী ভারতীয়দের নস্টালজিয়া৷ সেই সঙ্গে পশ্চিমের আর্ট প্রীতি৷ প্যারিস টোকিও, বার্লিনে বিক্রী হচ্ছে হিন্দি ফিল্মের হাতে আঁকা পোস্টার৷

https://p.dw.com/p/Njem

পঞ্চাশ কি ষাটের দশকে সিনেমা হল, কি চৌমাথার হোর্ডিং, সর্বত্রই দেখা যেতো দিলীপকুমার, ওয়াহিদা রহমান, ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনীকে - পোস্টার হিসেবে৷ আমি নিজে পোস্টকার্ডের মাপের ছবি থেকে স্কেল করে পেল্লাই পোস্টার আঁকতে দেখেছি কানে বিড়ি গোঁজা বাঁশের মেরাপে চড়া শিল্পীদের৷ অথচ তাঁরা যেটা করছিলেন, সেটা খোদ মাইকেলএঞ্জেলোও করেছেন সিস্টাইন চ্যাপেলে তাঁর সুবিখ্যাত ফ্রেস্কোগুলি আঁকার সময়৷ সেই একই চড়া রঙ, নাটকীয়তা এবং বাস্তবধর্মিতা, কাহিনী বলার ঢং, পার্স্পেকটিভ৷ ভারতের স্টাইলাইজড অঙ্কনশৈলীতে পশ্চিমী রিয়ালিজমের ছোঁয়াচ আনে ঐ লারেলাপ্পা হিন্দী ছবির পোস্টারগুলো৷

এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি এসে যখন সেই আর্ট মরতে বসেছে, ঠিক তখনই এক নতুন ধরণের পৃষ্ঠপোষকরা এগিয়ে এসেছেন ভারতের ‘পোস্টার আর্ট'-কে বাঁচানোর জন্য৷ সেই পোস্টারই এখন প্যারিস, টরোন্টো, টোকিও, লন্ডন, বার্লিনে বিক্রী হচ্ছে শত শত ইউরোয়৷ প্যারিসে ভারতের আদি ও অকৃত্রিম এ্যাম্বাস্যাডার গাড়ির গায়ে ঐ পোস্টার দেখা গেছে বিজ্ঞাপন হিসেবে৷ লিল'এ ভারতীয় পোস্টার আঁকিয়েরা ফরাসি গ্রাফিতি শিল্পীদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে চমক সৃষ্টি করেছেন৷

ওদিকে ভারতেও এই পোস্টার নস্টালজিয়ার ঢেউ পৌঁছেছে৷ মুম্বই-এর এক ব্যবসায়ী ঐ হাতে আঁকা পোস্টারের কায়দায় মানিব্যাগ, টি-শার্ট ইত্যাদি বাজারে ছেড়েছেন৷ ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনাররাও পুরনো দিনের হাতে আঁকা বলিউড পোস্টার থেকে প্রেরণা পাচ্ছেন৷ তবে আসল কথা হল এই যে, ‘মাদার ইন্ডিয়া'-র একটা হাতে আঁকা পোস্টারের জন্য ১০০ ডলার নগদমূল্য ধরে দেওয়ার মতো সমঝদারিত্ব কিংবা সামর্থ ক'জন ভারতীয়ের আছে, তা' এখনও সমীক্ষা করে দেখা হয়নি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম