1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুত্রহত্যায় সাহায্য করেছে মা আয়শা

২৯ জুন ২০১০

নিজের সন্তানকে প্রেমিককে দিয়ে হত্যা করিয়েছিল মা আয়শা৷ সরকারি গাড়ি নিয়ে নয়ছয় এবং দুর্নীতি, হল্যান্ড আর ব্রাজিলের বিজয়ের খবর৷ আজকের পত্রপত্রিকার শিরোনামে এসবই৷

https://p.dw.com/p/O5Na
মা ও শিশুর এই পবিত্রতম সম্পর্ককে কলঙ্কিত করেছে আয়শাছবি: bilderbox.com

নিজের ছেলেকে হত্যায় সহায়তা করেছে মা আয়শা

ইত্তেফাক, কালের কন্ঠ এবং বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর চাঞ্চল্যকর একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে৷ ঢাকার আদাবর এলাকায় নার্সারির ছাত্র ছয় বছরের শিশু সামীউলকে হত্যার সময় তার মা আয়শা হুমায়রা প্রেমিক সামসুজ্জামান আরিফকে সাহায্য করেছিল বলে জানা যাচ্ছে এই সংবাদ থেকে৷ গোয়েন্দাদের জেরার মুখে এবং সাংবাদিকদের সামনেও হত্যাকারী আরিফ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে বলে, হত্যার সময় সামীউলের মা আয়শা নিজের ছেলের পা চেপে ধরেছিল৷ আরিফ ওই শিশুটিকে গলা টিপে এবং পরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে৷ আরিফের বক্তব্য, আয়শা নাকি তাকে জানায়, সামীউল গোলমাল পাকাচ্ছে, বাবাকে সব কথা বলে দিতে চেয়ে ব্ল্যাকমেল করছে আমায়, ওকে মেরে ফেলাই ঠিক হবে৷ এরপর ১৯ জুন রাতে সামীউলকে আয়শার বাড়িতে দুজনে মিলে খুন করে তারা৷ তার লাশ বাকি রাত ফ্রিজের মধ্যে ভরে রাখে মা আয়শা৷ ব়্যাব পরে এই হত্যাকান্ডে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে সামীউলের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করেছে আরিফ এবং তার প্রেমিকা, নিজের পুত্রঘাতী মা আয়শা হুমায়রাকে৷

সরকারি গাড়ি নিয়ে নয়ছয়

দৈনিক কালের কন্ঠ দুর্নীতির চমত্কার একটি উদাহরণ তুলে ধরেছে তাদের সংবাদপত্রে৷ সরকারি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ওইসব প্রকল্পের জন্য কেনা হাজার হাজার গাড়ি ফেরত আসেনি সরকারি পরিবহন পুলে৷ প্রকল্প শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এসব গাড়ি সরকারের ঘরে জমা দেওয়ার নিয়ম৷ কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও ফেরত আসেনি এ রকম ৮৩৩০টি যানবাহন৷ হিসাব ৩০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের৷ কিছু মন্ত্রকের এই হিসাব মিললেও অন্তত ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে কোনো হিসাবই মেলেনি৷ সেখানেও আরো অনেক গাড়ি উধাও রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ অভিযোগ, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসব গাড়ি ব্যবহার করে চলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনরা৷ বলা বাহুল্য, সরকারি জ্বালানির টাকাতেই রাস্তায় চলছে এইসব গাড়ি৷ সে টাকাও লুটপাট হচ্ছে বলে জানাচ্ছে কালের কন্ঠ৷

WM 2010 Südafrika Achtelfinale - Brasilien gegen Chile
ব্রাজিলের আরও একটি গোলের উচ্ছাসছবি: AP

বিশ্বকাপের বাজার গরম

ডাচদের জয়, ফুটবলের ছবি দিয়েই প্রথম পাতা সাজিয়েছে ইত্তেফাক৷ সংবাদপত্র যখন প্রকাশিত হয়েছে সে পর্যন্ত ব্রাজিলের বিজয়ের খবর ছিল না, না হলে অবশ্যই ব্রাজিল পাতা জুড়ে নিত সব সংবাদপত্রেরই৷ কারণ, উপমহাদেশের দেশগুলিতে ব্রাজিল আর্জেন্টিনাই অধিকাংশ মানুষের প্রথম পছন্দের দল ফুটবলে৷ ব্রাজিলের বিজয়ের প্রশংসা রয়েছে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরে৷ কালের কন্ঠ তাদের প্রতিবেদনে অবশ্য ব্রাজিল কোচ দুঙ্গার নতুন স্ট্র্যাটেজির প্রশংসা করে লিখেছে, প্রতিপক্ষ আক্রমণে গেলে সেখান থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে গেল করার কায়দা নিয়েছেন দুঙ্গা৷ গ্রুপ পর্যায়ে তেমন সুযোগ না পেলেও নক আউট পর্যায়ের প্রথম খেলাতেই তাই দুঙ্গার এই নতুন ফরমুলা দারুণ সাফল্য পেয়ে গেছে৷ আগামীতেও পাবে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : সাগর সরওয়ার