1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুটিনের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ সাম্রাজ্যবাদের অভিযোগ

২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে জাতিসংঘে প্রথম ভাষণে শলৎস ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা করে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করে দিলেন৷ জোর খাটিয়ে জমি দখলের ঘোর বিরোধিতা করলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4H8SC
UN Generalversammlung | Olaf Scholz
জাতিসংঘে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ছবি: Anna Moneymaker/Getty Images

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা জার্মানি তথা ইউরোপকে কত বড় ধাক্কা দিয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে ওলাফ শলৎসের প্রথম ভাষণ তা স্পষ্ট করে দিলো৷ শলৎস রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের বিরুদ্ধে ‘নির্লজ্জ সাম্রাজ্যবাদ'-এর অভিযোগ করেছেন৷ তার মতে, পুটিন যদি বুঝতে পারেন তার পক্ষে এই যুদ্ধ জয় করা সম্ভব নয়, তবেই তিনি তার ‘সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা' ত্যাগ করবেন৷

শলৎস মনে করেন, পুটিন শুধু ইউক্রেন নয়, নিজের দেশকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন৷ তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই সংকটের সমাধানের লক্ষ্যে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া শান্তি মোটেই গ্রহণযোগ্য হবে না৷ শলৎস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আচরণ শুধু ইউরোপের জন্যই বিপর্যয় বয়ে আনছে না, আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক কাঠামো ও বিশ্ব শান্তিও বিঘ্নিত হচ্ছে৷ তিনি এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, যে গত মার্চ মাসে জাতিসংঘের ১৪১টি সদস্য দেশ একটি প্রস্তাব সমর্থন করে রুশ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল৷ শলৎস জাতিসংঘের উদ্দেশ্যে নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামোর সুরক্ষার আহ্বান জানান৷ ‘জোর যার মুলুক তার' নীতি যাতে বিশ্বে জাঁকিয়ে বসতে না পারে, তা নিশ্চিত করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন৷ জার্মান ও ইউরোপীয় হিসেবে তিনি নিজে একবিংশ শতাব্দীতে বহুমেরুভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, বলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷

রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে ইউক্রেনের প্রতি সম্পূর্ণ সংহতি ও ধারাবাহিক সহায়তার অঙ্গীকার করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের জন্য আর্থিক, অর্থনৈতিক, মানবিক এবং সামরিক সহায়তার আহ্বান জানান৷ উল্লেখ্য, চ্যান্সেলর শলৎস নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার আগেই জার্মান সরকার ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তার ঘোষণা করেছে৷ এর আওতায় জার্মান সেনাবাহিনীর ভাণ্ডার থেকে আরও ‘সেল্ফ প্রপেল্ড হাউইৎসার' কামান ইউক্রেনে পাঠানো হবে৷ জাতিসংঘের ভাষণে শলৎস আরও জানান, আগামী ২৫শে অক্টোবর বার্লিনে ইউক্রেনের পুনর্গঠন সংক্রান্ত একটি সম্মেলন আয়োজন করা হবে৷ সেখানে জার্মানি ইউক্রেনের সরকারকে সে দেশের পুনর্গঠনের কাজে বিপুল সহায়তার উদ্যোগ নেবে৷

ইউক্রেনের প্রতি জোরালো সমর্থনের অঙ্গীকার করলেও সে দেশকে আক্রমণাত্মক সামরিক সরঞ্জাম দেবার প্রশ্নে এখনো দ্বিধায় ভুগছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ন্যাটোসহ অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় ছাড়া জার্মানির পক্ষে এমন ‘ঝুঁকিপূর্ণ' পদক্ষেপ নিতে তিনি নারাজ৷ এদিকে জার্মান সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ইউনিয়ন শিবির এই মর্মে একটি প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ ইউরোপে ‘শান্তি ও স্বাধীনতা' রক্ষার স্বার্থে ইউক্রেনকে ভারি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর দাবি করছে জার্মানির রক্ষণশীল দুই দল৷ সরকারি জোটের মধ্যেও এমন দাবি ওঠায় বিরোধী পক্ষের প্রস্তাব প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)