পিকনিক বা বনভোজনের যত ধরণ
শত শত বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবসর কাটানোর অনুষঙ্গ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পিকনিক৷ ২০১৭ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে এক প্রদর্শনীতে পিকনিকের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছিল৷
বাইরে বসে খাওয়ার শিল্প
সময়ের সাথে সাথে পিকনিক বা বনভোজনে কী কী পরিবর্তন বা বৈচিত্র এসেছে বা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন হয়েছে, তার ইতিহাস ২০১৭ সালে ফ্রাঙ্কফুর্ট জাদুঘর আয়োজিত ‘পিকনিক টাইম’ প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছিল৷ প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সময়ে পিকনিকে ব্যবহৃত এক হাজারেরও বেশি বস্তু উপস্থাপন করা হয়৷ এই ছবিটি এদ্যুঁয়ার্দ মানে’র বিখ্যাত চিত্রকর্ম, যেখানে ১৯ শতকের পিকনিক দেখানো হচ্ছে৷
বিশেষ ধরনের পিকনিক
প্রদর্শনীতে পিকনিকে ব্যবহৃত জিনিসগুলোও বড় ভূমিকা রেখেছে৷ যেমন এখানে জাপানিজ পিকনিক সেট দেখা যাচ্ছে৷ এটি ১৮ শতকে তৈরি৷ এর সঙ্গে আছে একটি লুই ভিতো কেইজ (কোন জিনিস রাখার বাক্স বিশেষ), যেটি ১৯১০ সালে তৈরি৷ এই কেজ গাড়ি বা মোটরসাইকেলে করে সহজে বহন করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি৷ এ থেকেই বোঝা যায় তখন পিকনিককে কতটা গুরুত্ব দেয়া হতো৷
কেপটাউনে পিকনিক
ফ্রাঙ্কফুর্টের আলোকচিত্রী বারবারা ক্লেম বিশ্বব্যাপী পিকনিকের ছবি তুলে বেড়ান৷ এই ছবিটি ১৯৭৮ সালে কেপটাউনে তোলা৷ এছাড়া চীন, ইরান বা ইউক্রেনে তোলা তাঁর ছবিগুলোতে একটা মিল রয়েছে, সেটা হলো খোলা জায়গায় একসাথে বসে খাচ্ছে সবাই৷
হেনলে রয়াল রেগেতায় পিকনিক
ইউরোপ জুড়ে ঘরের বাইরে খাওয়াটা ভীষণ জনপ্রিয়, ব্যাহোক পিরিয়ডে ফ্রেঞ্চরা এর নাম দিয়েছিলেন পিকনিক৷ ধনীদের মধ্যে এটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং ১৮ শতকে ইংল্যান্ডে বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা পায় এটি৷ পরবর্তীতে উচ্চবিত্তদের পিকনিকে ঘোড়দৌড়সহ নানা কিছুর প্রচলন হয়৷ এই ছবিটি ২০১৬ সালে হেনলে রয়াল রেগেতায় তোলা৷
কবরস্থানে পিকনিক
মৃতের দিন বা দিয়া দে লোস মুয়ের্তোস মেক্সিকোর অন্যতম ছুটির দিন৷ মৃতের পরিবার ও স্বজনরা এই দিনটি উদযাপন করেন৷ এই দিনে পরিবারের সদস্যরা কবরস্থানে জড়ো হয় এবং বড় রকমের ভোজের আয়োজন করে৷ সেখানে বসেই তারা খায়৷ ২০১২ সালে ফেলিক্স পেস্টেমের আঁকা ছবিতে তা-ই দেখা যাচ্ছে৷
শতাব্দী ধরে ঘাসের উপর মধ্যাহ্নভোজ
ঘাসের উপর বসে খাবার খাওয়ার প্রথা এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়৷ গ্রিকরা প্রকৃতির মাঝে বসে খেতে পছন্দ করত৷ তাদের এই খাওয়ার ধরনটি ১৮ শতকে ব্রিটিশদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়৷ ‘লাঞ্চ অন দ্য গ্রাস’ নামের এই ছবিটি ২০১৭ সালে তোলা৷