পিকনিকের মেজাজে তৃণমূলের একুশে জুলাই
ফের করোনা বাড়ছে। তারই মধ্যে কলকাতার রাজপথে তৃণমূলের সভায় তিল ধারণের জায়গা নেই। ২০২৪ সালের ভোটবার্তা দিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
একুশে জুলাই
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল কংগ্রেস। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তখন কংগ্রেসের যুবনেত্রী। কলকাতার রাজপথে মিছিল করে তারা মহাকরণের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই পুলিশ গুলি চালায়। ১৩ জন কংগ্রেসকর্মীর মৃত্যু হয়।
শহিদ দিবস
পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন। সেই তখন থেকেই এই দিনটিতে কলকাতার ধর্মতলা অঞ্চলে তৃণমূল শহিদ দিবস পালন করে। ২১ জুলাই তৃণমূল সবচেয়ে বড় দলীয় সমাবেশ করে। রাজনৈতিক রোডম্যাপ ঘোষণা করে।
করোনাকালের ২১ জুলাই
করোনাকালে বন্ধ ছিল সভা। ভার্চুয়াল সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব ভিডিওবার্তা দিয়েছিল। এবছর ফের আগের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ জুলাই সভার।
পিকনিকের মেজাজ
দিনটি শহিদ স্মরণে আয়োজিত হলেও, তৃণমূলকর্মীরা থাকেন খোশমেজাজে। কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে সভাস্থলে মিছিল করে পৌঁছান তারা।
অঘোষিত ছুটি
কলকাতার কেন্দ্রস্থলে এই সভার আয়োজন হয়। ফলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাস তৃণমূলকর্মীরা ভাড়া নিয়ে নেন। ফলে গণপরিবহন প্রায় ভেঙে পড়ে। এদিনও বিভিন্ন স্কুল ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে।
সকাল থেকে প্রস্তুতি
সভার দুইদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এদিন সকাল থেকেই কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন ধর্মতলায়।
কর্মী-শিবির
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন বোঝাই করে কলকাতায় এসেছেন তৃণমূলকর্মীরা। তাদের জন্য দলের ভল্যান্টিয়াররা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
রকমারি সাজ
উৎসবের মেজাজে কর্মীরা। রংবেরঙের সাজে তারা পৌঁছে গেছেন সভা প্রাঙ্গনে।
বেড়ানোর দিন
বিভিন্ন জেলার তৃণমূলকর্মীরা রথ দেখা কলা বেচা দুই কাজই সেরে ফেলেন এদিন। সভায় যোগ দেওয়ার পর তারা বেরিয়ে পড়েন কলকাতা ভ্রমণে।
করোনা মামলা
করোনাকালে ২১ জুলাইয়ের সভা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। আদালত সভা করার অনুমতি দেয়।
পুলিশের পরীক্ষা
কয়েক লাখ মানুষ জড়ো হন এই সভায়। ফলে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয় পুলিশকে।
সভামঞ্চে নেতারা
মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে ঘিরে বসে আছেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা।
রাজনৈতিক বার্তা
বৃষ্টিভেজা সভায় বেলা দেড়টা নাগাদ বক্তৃতা করতে ওঠেন মমতা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তিনি কর্মীদের বার্তা দেন।
বিজেপির কারাগার ভাঙো
এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর শপথ নিতে হবে। তার কথায়, ''বিজেপির কারাগার ভাঙো।''