1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছেন টেরেসা মে

২৩ মে ২০১৯

বুধবার আরো এক মন্ত্রীর পদত্যাগের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সরকার ও দলের মধ্যে আরো কোণঠাসা হয়ে পড়লেন৷ সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের শেষ প্রচেষ্টাও সম্ভবত বিফল হতে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/3Iw57
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: Reuters/K. Wigglesworth

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেসা মে আর কতকাল কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, বুধবারের পর শুধু সেই প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে৷ সংসদে চতুর্থ বার ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের প্রচেষ্টা এর মধ্যেই কার্যত বানচাল হয়ে গেছে৷ এমনকি দ্বিতীয় গণভোটের প্রলোভনও বিরোধীদের মন জয় করতে পারেনি৷ সরকার ও বিরোধী পক্ষের একটা বড় অংশ এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন৷ বুধবার মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদের নিম্ন কক্ষে টোরি দলের প্রধান আন্দ্রেয়া লিডসোম পদত্যাগ করায় মে আরো চাপের মুখে পড়লেন৷

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে ব্রিটেনেও ভোটগ্রহণ চলছে৷ রবিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মে পদত্যাগ করতে পারেন বলে অনেক মহল অনুমান করছে৷ ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন টোরি দলের শোচনীয় ফলাফলের আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হলে খোলামেলা বিদ্রোহের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ জনমত সমীক্ষায় টোরি দল মাত্র ৭ শতাংশ সমর্থন পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে৷ মে নিজেও সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি পেশ করার পর জুন মাসেই পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

করুণ পরিস্থিতি সত্ত্বেও টেরেসা মে যদি মরিয়া হয়ে নিজের গদি আঁকড়ে ধরে থাকতে চান, সে-ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব আনার তোড়জোড় করছে দলের একাংশ৷ প্রধানমন্ত্রী গত ডিসেম্বর মাসে সংসদে অনাস্থা ভোটে জয়লাভ করার ফলে এক বছরের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এমন প্রস্তাব আনা সম্ভব নয়৷ তা সত্ত্বেও বুধবার সংসদে দলের শক্তিশালী ১৯২২ কমিটির এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশের বিকল্প কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷

ব্রেক্সিট চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সম্প্রতি বিরোধী লেবার পার্টির সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন৷ প্রায় এক মাস ধরে আলোচনা চালিয়েও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ বুধবারও মে লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিনের প্রতি সমর্থনের আবেদন করেন৷ কর্বিন অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ প্রস্তাবের মধ্যে পরস্পর-বিরোধীতার উল্লেখ করে তাঁর নেতৃত্বের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷

ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ আগামী ২০শে জুলাই সংসদের গ্রীষ্মকালীন বিরতির আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের চুক্তি অনুমোদন ও সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে সংশ্লিষ্ট আইন পাস না করলে ৩১শে অক্টোবরের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করা সম্ভব না-ও হতে পারে৷ প্রধানমন্ত্রী মে পদত্যাগ করলে নতুন নেতার পক্ষেও এত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হবে৷ ইইউ এই সময়সীমা নীতিগতভাবে আরো পিছিয়ে দিতে পারলেও এমন সম্ভাবনা কমে চলেছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)