পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
১৪ ডিসেম্বর ২০১০হানাদারদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়৷ নীল নকশা অনুযায়ী তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করে চিরতরে পঙ্গু করে দিতে৷
শহীদ বুদ্ধজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী জানান, বুদ্ধিজীবী হত্যার ধারাবাহিকতায় তাঁর বাবাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ১৫ই ডিসেম্বর৷ এরপর তাঁকে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়৷ আলীম চৌধুরীর স্বজনরা ১৮ই ডিসেম্বর তাঁর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেন রায়ের বাজার বধ্যভূমি থেকে৷
ডা. নুজহাত চৌধুরী জানান, কেউ কেউ একাত্তরের গণহত্যার বিষয়টি ৪০ বছরের পুরনো বলে এড়িয়ে যেতে চান৷ কিন্তু শহীদদের স্বজনরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে চান৷
ভোরে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী৷ এরপর সেখানে নামে সাধারণ মানুষের ঢল৷ তাঁরা শ্রদ্ধা জানান জাতির বীর সন্তানদের৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই