1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে পরমাণু চুল্লির প্রসারে আগ্রহী চীন

২৪ মার্চ ২০১১

জাপানের ফুকুশিমার পরমাণু চুল্লি থেকে যে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে অসংখ্য দেশ চিন্তিত হলেও বেশ কয়েকটি দেশ কিন্তু মোটেই চিন্তিত নয়৷ তারা আগ্রহী নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরিতে৷

https://p.dw.com/p/10gdN
একটি চুল্লিতে কাজ করতে যাচ্ছেন কর্মীরাছবি: AP

আগ্রহী এই দেশগুলো জাপান থেকে খুব বেশি দূরে নয়৷ এশিয়াতেই অবস্থিত৷ ভারত এবং পাকিস্তানে পরমাণু চুল্লি রয়েছে সে কথা নতুন করে জানাবার প্রয়োজন নেই৷ পাকিস্তানে পরমাণু চুল্লির প্রসারে সাহায্য করবে চীন সে কথা জানিয়েছে দেশটি৷ এবং আধুনিক কোনো প্রযুক্তি নয় ১৯৭০ সালের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এই প্রসারের কাজে৷

জাপানের এই বিপর্যয় থেকে মনে হয় কোনো শিক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে না৷ পরমাণু চুল্লির প্রতি আগ্রহ কমছে না৷ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চাশমা এলাকায় এই প্রসারের কাজ চলবে বলে জানানো হয়েছে৷

বলা প্রয়োজন, জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু চুল্লিটিও ১৯৭০ সালের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে৷ এবং তার ভয়ঙ্কর পরিণতি বিশ্ববাসী দেখেছে৷

চীনের এই ঘোষণায় ওয়াশিংটন সহ বেশ কিছু দেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে৷ চিন্তিত ভারতও৷ দুটি দেশের মধ্যে সারাক্ষণই চলছে রাজনৈতিক উত্তেজনা৷ গোটা অঞ্চলই ভবিষ্যতে হুমকির সম্মুখীন হবে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷

পরমাণু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মার্ক হিব্স জানান, ‘‘চীনের সবচেয়ে পুরনো পরমাণু চুল্লির ডিজাইনে তৈরি করা হবে পাকিস্তানের এই চুল্লি৷ ডিজাইনটি আসলেই ভীষণ পুরনো৷'' হিব্স কাজ করেন বার্লিনে এবং এ সপ্তাহেই তিনি পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন৷ তিনি আরো জানান, ‘‘চীন যদি পাকিস্তানকে নতুন একটি পরমাণু চুল্লি তৈরিতে সাহায্য করতে চায় তাহলে এই পুরনো ডিজাইনের মধ্যেই দুটি দেশ আটকে থাকবে৷''

পাকিস্তানকে দেয়া প্রতিশ্রুতি চীন রক্ষা করবে – একথা চীন সরাসরি জানিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মহলের মনে প্রশ্ন, জাপানের এই বিপর্যয়ের পর আদৌ এ ধরণের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা চীনের উচিত হচ্ছে কিনা এবং অন্যান্য দেশগুলো থেকে এ ব্যাপারে কোনো ধরণের বাধা আসবে কিনা৷ তারচেয়েও বড় প্রশ্ন চেরনোবিল এবং ফুকুশিমা থেকে কোনো শিক্ষাই কি তাহলে আমরা গ্রহণ করিনি?

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক