1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে জোড়া আত্মঘাতী হামলা

৬ ডিসেম্বর ২০১০

এই হামলায় নিহত হয়েছে ৪০ জন আহত প্রায় ৬০ জন৷ পুলিশের পোশাক পরে দু’জন হামলাকারী সরকার সমর্থক উপজাতীয় নেতাদের এক বৈঠকে হামলা চালায়৷

https://p.dw.com/p/QQn1
বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪০ জনছবি: AP

জোড়া বোমা হামলার ঘটনা ঘটে মোহমান্দ উপজাতীয় এলাকার ঘালালনাই-এ ৷ রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত মোহমান্দ৷ একটি বৈঠকে হামলা চালানো হয়৷ তালেবান বিরোধী উপজাতীয় নেতাদের বৈঠকটি চলছিল ঘালালনাই-এ শীর্ষ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে৷ পুলিশের পোশাক পরে হামলা চালানো হয়৷

তালেবানের হুমকি

পাকিস্তানি তালেবান এর একজন মুখপাত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এছাড়া হুমকি দিয়েছে তালেবান বিরোধী কোন বৈঠকে যেই অংশগ্রহণ করবে তাকেই হত্যা করা হবে৷

Hakimullah Mehsud Taliban Tehrik e Taliban
হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবানছবি: picture-alliance/ dpa

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন এই হামলার ঘটনা সম্পর্কে৷ হামলায় মোহমান্দ এলাকার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্মকর্তা আমজাদ আলী বেঁচে যান৷ রক্ষা পান ৫০ বছর বয়স্ক সাকী জান৷ তিনি শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন৷ হাতে সামান্য জখম হয়েছে তাঁর ৷ কমিটির আরেক সদস্য সুজা আহমেদ জানান,‘‘ ছোট ছোট গ্রুপ হয়ে বসে সবাই আলোচনা করছিল বাইরের লনে বসে৷'' আমজাদ আলী বলেন,‘‘স্থানীয় পুলিশের পোশাক পড়ে হামলাকারীরা এসেছিল৷ মেইন গেইটের কাছে একজন নিজেকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়৷ আরেকজন বিস্ফোরণ ঘটায় অফিসে৷''

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত দশজন সরকারি কর্মকর্তা এবং দু' জন সাংবাদিক৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪০, আহত হয়েছে ৬০ জনেরও বেশি৷ এর মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর৷ দপ্তর ভবনের চত্বরে উপস্থিত ছিল প্রায় একশ জন মানুষ৷ বিল্ডিংটি বেশ ভালভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ঘালালনাই-এর স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসক জাহাঙ্গীর খান জানান, ৩১টি মৃতদেহ আনা হয়েছে বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পরেই৷ গুরুতর জখমের অনেকেই হাসপাতালে আনার পর মারা গেছে৷ ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে৷

বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানে চলছে একের পর এক বোমা হামলা৷ তালেবান জঙ্গিরা এখনও সক্রিয়, তারই প্রমাণ মেলে তা থেকে৷ জুলাই মাসের ৯ তারিখে ইয়াকাঘুন্দ শহরে একটি গাড়ি বোমা হামলায় মারা যায় একশ পাঁচ জন মানুষ৷ ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বিভিন্ন বোমা হামলায়৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক