পাকিস্তানে জুহিকে বাঁচানোর চেষ্টা
৬ সেপ্টেম্বর ২০১০জুহিকে বাঁচানোর চেষ্টা
পাকিস্তানের আরো একটি শহর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে৷ সিন্ধু প্রদেশের জুহি শহরের আশপাশের এলাকা ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে৷ তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শহরটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ জুহির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকবাল মোমেন জানিয়েছেন, বিধ্বংসী বন্যার কবল থেকে আমরা জুহি শহরটিকে বাঁচানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করছি৷
ইতিমধ্যে অবশ্য জুহি শহরের অধিকাংশ অধিবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ শহর রক্ষা বাঁধগুলোকেও মজবুত করার চেষ্টা করছে সেখানকার প্রশাসন৷
সন্তুষ্ট নয় বন্যাদুর্গতরা
বন্যার কারণে কমপক্ষে আশি লাখ মানুষ এখন শুধু ত্রাণ সাহায্যের উপরই নির্ভরশীল৷ দুর্গতদের জন্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ইতিমধ্যে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে৷ কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগে মোটেই সন্তুষ্ট নয় বন্যাদুর্গতরা৷ ত্রাণ সাহায্য ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের৷
বাড়ছে রোগবালাই
এদিকে, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বাড়ছে রোগবালাই৷ পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থানরত রেডক্রস কর্মকর্তা কারিনা ল্যাহম্যান এর মতে, বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে৷ রয়েছে শ্বাসকষ্ট এবং পেটের পীড়া৷ নানা ধরণের চর্মরোগও ছড়াচ্ছে অনেকের মধ্যে৷
বীজ নেই
বন্যায় ৩৫ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে৷ তবে, কৃষিখাতে এই বন্যার ফলাফল হবে দীর্ঘমেয়াদী৷ কেননা, বন্যাদুর্গত অনেক কৃষকের কাছে প্রয়োজনীয় বীজ নেই৷ ফলে আগামী বছর চাষাবাদ করার মতো সামর্থ্য হারাচ্ছে অনেক কৃষক৷ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফএও জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে কৃষকদের বীজ সহায়তা দেয়া উচিত৷
এছাড়া, বন্যাদুর্গত এলাকার পুর্নবাসনে সহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা৷ বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বন্যা সহায়তা দেবার ঘোষণা দিয়েছে৷ আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে দেবে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই