পাঁচটি বাইসাইকেল যা সবার নজর কাড়বে
দু’চাকার বাইসাইকেল এ বছর ২০০-য় পা দেবে৷ এই দীর্ঘ পথে সাইকেল নামের যানটির বহু রূপান্তর ঘটেছে৷
‘হাই হুইল’
যেন মহিলাদের হাই-হিল (জুতো)! এককালে এই সাইকেলের নাম ছিল পেনি-ফার্দিং: সামনের চাকাটা বড়, সেটা যেন একটা পেনি (মুদ্রা বা ‘কয়েন’); পিছনের চাকাটা ছোট, সেটা হলো ফার্দিং৷ এই যন্ত্রটিই প্রথম বাইসাইকেল বা দু’চাকার যান নাম পায়৷ সুইডিশ স্থপতি পের-ওলফ কিপেল ২০১৩ সালে তাঁর নিজের হাই-হুইলার বাজারে ছাড়েন৷
‘কুইগল’
মাত্র সাড়ে আট কিলো ওজনের এই বাইকটি আকারে সাধারণ ফোল্ডিং বাইকের অর্ধেক৷ কুইগল নাকি বিশ্বের সবচেয়ে আঁটোসাটো ফোল্ডিং বাইক৷ এটিকে নাকি সুটকেসে ভরে নিয়ে যাওয়া যায় – তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে বাইকটা কী ধরনের খদ্দেরদের জন্য তৈরি: ডেইলি প্যাসেঞ্জারদের জন্য৷ ট্রেন বা বাস থেকে নেমে, বাইকটি ‘খুলে’ নিয়ে, সোজা অফিসে গেলেই হল৷
‘হাফবাইক’
মানে আধা বাইক – বস্তুটি বাইসাইকেল আর স্কেটবোর্ডের একটি সংমিশ্রণ৷ হ্যান্ডেলটা ঠিক স্টিয়ারিং-এর কাজ করে না; ডানদিক বা বাঁদিকে ঘুরতে শরীর সেদিকে ঝোঁকাতে হয়৷ বুলগেরিয়ার দুই স্থপতি, মার্টিন আঙ্গেলভ আর মিহাইল ক্লেনভ মিলে এই বাইকটি সৃষ্টি করেছেন৷
‘বেড বাইক’
‘বিছানা বাইক’, বার্লিন শহরে এই বাইক ভাড়া করা যায়৷ একটি সাইকেল রিকশার ওপর লাল-কালো-হলুদ বিছানা লাগানো (যা কিনা জার্মান পতাকার রং)৷ টুরিস্টরা এই বাইকে চড়ে – থুড়ি শুয়ে বার্লিন দেখতে পারেন৷ অবশ্য তারা যতো না বার্লিন দেখবেন, তার চেয়ে বেশি বার্লিনবাসীরা তাদের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেন...
‘লপিফিট’
হাঁটাও বটে আবার সাইকেল চালানোও বটে – কিন্তু যে কোনো সাইকেলের চেয়ে বেশি স্পিডে৷ ‘লপিফিট’ একটি ওলন্দাজ আবিষ্কার৷ চালক হাঁটছেন একটি ট্রেডমিলের ওপর, সেই শক্তিতে একটা ইলেকট্রিক মোটর চলেছে৷ হ্যান্ডেলে ব্রেক করার ব্যবস্থা আছে, আবার ‘হাঁটা’ বন্ধ করলে সাইকেলটি নিজেই ধীরে ধীরে থেমে যায়৷