পর্দা কাঁপানো ৯ ফরাসি সুন্দরী
সোফি মারসো কেবল একাই নন, ব্রিজিত বার্দো, ক্যাথরিন দেনেভে, জন মরো বা মারিয়ন কোটিয়ার্ডের মতো ফরাসি অভিনেত্রীরা বিশ্ব চলচ্চিত্রে বাজিমাত করেছেন, এখনো করছেন৷ ছবিঘরে থাকছে তাঁদের কথা৷
সোফি মারসো
ফরাসি অভিনেত্রীদের কথা বললে ‘ব্রেভ হার্ট’ সুন্দরীর কথা প্রথমেই চোখে ভাসে৷ ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ’ এর বন্ড গার্লও তিনি৷ মাত্র ১৪ বছর বয়সে ‘লা বুম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কিশোরদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী৷
ক্যাথরিন দেনেভে
১৯৪৩ সালে প্যারিসে জন্মেছিলেন এই অভিনেত্রী৷ মাত্র ২১ বছর বয়সে ‘দ্য আমব্রেলাস অফ শেরব্যুর্গ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি৷ শান্ত দৃষ্টি এবং মিষ্টি মুখের জন্য তরুণদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন এই অভিনেত্রী৷ রোমান পোলানস্কি, ফ্রাঁসোয়া ট্রুফো’র মতো বড় বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি৷ ৭৩ বছরের এই অভিনেত্রী এখনও অভিনয় করে চলেছেন৷
জন মরো
১৯২৮ সালে প্যারিসে জন্ম এই অভিনেত্রীর৷ বিখ্যাত সব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি৷ তার উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে ‘লিফ্ট টু দ্য স্কাফোল্ড’ অন্যতম৷ ১৯৬৫ সালে ব্রিজিত বার্দো’র সঙ্গে ‘ভিভি মারিয়া’ নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন৷ সেখানে বিপ্লবীদের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তারা৷ ছবিটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল৷
ব্রিজিত বার্দো
ফরাসি অভিনেত্রীদের মধ্যে ব্রিজিত বার্দো’র কথা না বললেই নয়৷ তিনি কেবল অভিনেত্রীই নন, মডেল ও সংগীত শিল্পী৷ ৬০ এর দশকে যৌন আবেদনময়ী তারকাদের আইকন ছিলেন তিনি৷
ফেনি আরদোঁ
পরিচালক ফ্রাঁসোয়া ট্রুফো টেলিভিশন সিরিজে তার কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে ফেনিকে চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছিলেন৷ ১৯৮১ সালে ট্রুফো পরিচালিত ‘দ্য উমেন নেক্সট ডোর’ সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পান তিনি৷
জুলিয়েত বিনোশে
৫২ বছর বয়সি এই ফরাসি অভিনেত্রী এ পর্যন্ত ৬০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন৷ ১৯৮৫ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি৷ ১৯৯৬ সালে ‘দ্য ইংলিশ পেশেন্ট’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য সেরা সহঅভিনেত্রীর অস্কার জেতেন তিনি৷ বিনোশে তার চরিত্র নিয়ে এতটাই খুঁতখুঁতে যে স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘জুরাসিক পার্কে’ অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷
উদ্রে তোতু
২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘এমিলি’ মুভিটি যে দেখেছে সে হয়ত উদ্রে তোতুকে ভুলবে না৷ এই ছবিটি আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জন করে৷ তোতু’র প্রাণবন্ত অভিনয় দর্শকদের মন কেড়ে নেয়৷ টম হ্যাংকের বিপরীতে ‘দ্য দাভিঞ্চি কোড’-এও অভিনয় করেছেন তিনি৷ ৪০ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী এখনো দাপটের সঙ্গে পর্দা কাঁপিয়ে যাচ্ছেন৷
মারিয়ন কোটিয়ার্ড
অনিন্দ্য সুন্দরী ফরাসি অভিনেত্রী মারিয়ন কোটিয়ার্ড এ পর্যন্ত ৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন৷ ফরাসি ভাষার চলচ্চিত্র ‘লা ভিভে এ রোজ’ এর জন্য সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জিতেছেন তিনি৷ ‘ব্যাটম্যান-দ্য ডার্ক নাইটস রাইজেজ’ চলচ্চিত্রে তার মৃত্যু দৃশ্যের পর থেকে ভক্তদের মুখে মুখে তাঁর নাম৷ ২০১১ সালে ফ্রান্সের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীর তালিকায় শীর্ষে ছিলেন তিনি৷
লিয়া শেদ্যু
বন্ড মুভি ‘স্পেকটার’-এ ফরাসি অভিনেত্রী শেদ্যুকে বন্ড গার্লের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল৷ ২০১৩ সালে ‘ব্লু ইজ দ্য ওয়ার্মেস্ট কালার’ মুভিতে সমকামী চরিত্রে তার ৭ মিনিটের যৌন দৃশ্যের কারণে সমালোচক ও দর্শকদের দৃষ্টি কাড়েন তিনি৷ এই চলচ্চিত্রের জন্য গোল্ডেন পাম পুরস্কার জেতেন এই অভিনেত্রী৷