1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্তুগালের সবচেয়ে সুখি মানুষদের শহর ব্রাগা

২৭ জানুয়ারি ২০২২

পর্তুগালের উত্তরের শহর ব্রাগার প্রায় দুই হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে৷ এছাড়া সেখানে আছে প্রায় ১০০টির মতো গির্জা৷ শহরের কাছেই আছে সাগর আর পাহাড়৷ আরও আছে জাতীয় উদ্যান৷

https://p.dw.com/p/468uC
ছবি: DW

ইউরোপীয় কমিশনের জরিপ বলছে, ব্রাগায় পর্তুগালের সবচেয়ে সুখি মানুষেরা থাকেন৷ অনলাইন পোর্টাল ‘বেস্ট ডেস্টিনেশনস ইন ইউরোপ’ ব্রাগাকে ২০২১ সালের সেরা ট্রাভেল গন্তব্যের খেতাব দিয়েছিল৷ ব্রাগার বাসিন্দাদের গড় বয়সও কম, যা ইউরোপের মধ্যে অন্যতম৷

২০১৩ সাল থেকে ব্রাগার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন রিকার্ডো রিও৷ ব্রাগাকে সবুজ বানাতে ভূমিকা রাখায় ২০২১ সালের ‘ওয়ার্ল্ড মেয়র অ্যাওয়ার্ডস’ পুরস্কার পান তিনি৷ রিকার্ডো জানান, ‘‘ব্রাগা খুব প্রাণবন্ত ও কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর একটি শহর৷ এখানে যেমন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রন ঘটেছে, তেমনি এখানকার ৪০ ভাগ বাসিন্দার বয়স ৩০-এর নীচে৷ এখানে দারুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে৷ আছে অনেক স্টার্টআপ৷ একটা শহরে বাস করে সুখি হতে আপনার যা চাই, সেটা আমরা আপনাকে দেয়ার চেষ্টা করি৷’’

শহরের এমন বৈশিষ্ট্যের কারণে ক্যাটারিনা ডোস সান্তোস ও তার পার্টনার ২০১৭ সালে লন্ডন থেকে ব্রাগায় ফিরে গেছেন৷ সেখানে তারা শহরের প্রথম আধুনিক কফি শপ চালু করেন, যেটা এখন ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে৷ ক্যটারিনা বলেন, ‘‘যখন আমরা বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে আসতাম তখন দেখতাম অনেক তরুণ আর পর্যটকরা আসছেন৷ শহরটা কেমন যেন প্রাণবন্ত হয়ে উঠছিল৷ তখন আমাদের মনে হলো, ওয়াও এখানে অনেক কিছু ঘটছে, হয়ত এটা একটা সুযোগ হতে পারে৷ আমি বলতে চাই না যে আবার কখনও ফিরে যাব না, তবে এই মুহূর্তে বলতে পারি আমরা খুব ভালো আছি৷’’

পর্তুগালের নতুন আকর্ষণ ব্রাগা

ব্রাগার টানে অনেক তরুণ আর্টিস্টও সেখানে ছুটে যাচ্ছেন৷ নিয়মিত সেখানে ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়৷ শহরের অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র জেনারেশন৷ ডিজিটাল আর্ট নিয়ে কাজ হয় সেখানে৷ জেনারেশনের আর্টিস্টিক ডাইরেক্টর লুইস ফার্নান্দেজ বলেন, ‘‘আমার কাছে ব্রাগা একটি বিশেষ শহর, কারণ আপনি এখানে অনেক কিছু পাবেন৷ একদিকে এটা নীরব একটা শহর, আবার সাগর, জাতীয় উদ্যান, পাহাড় থেকে বেশি দূরেও নয়৷ এছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও বাড়ছে৷’’

আর ফটোগ্রাফার মার্তা মাচাদো বলেন, ‘‘ব্রাগা একটা কোজি শহর৷ শহরটা বড়, কিন্তু একইসঙ্গে আপনার পাড়ায় যারা থাকেন, তাদের আপনি চেনেন৷ ফলে শহরে থেকে গ্রামের একটা আবেশ পাওয়া যায়৷’’

ব্রাগার সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানটি পাহাড়ে অবস্থিত - বম জেসুস ডো মন্তে গির্জা৷ সিঁড়ি বেয়ে সেখানে যাওয়া যায়৷ সেটা না চাইলে প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ফার্নিকুলারও আছে৷ চারদিকে বন আর জাতীয় উদ্যান দিয়ে ঘেরা ঐ জায়গায় কৃত্রিম গুহাও আছে৷ স্থানীয়রাও সেখানে যেতে পছন্দ করেন, যেমন ৩৩ বছর বয়সি সংগীত শিল্পী মারিয়া হুয়াও বোরেত্তো৷ লেখাপড়া শেষে আবার নিজ শহরে ফিরে গেছেন তিনি৷

মারিয়া জানান, ‘‘আমি ব্রাগাকে ভালোবাসি৷ আমি এখানে জন্মেছি, বেড়ে উঠেছি৷ এখানকার জীবনযাত্রার মান ভালো, প্রকৃতিও বেশ সুন্দর৷ এমনকি এই বৃষ্টিও৷’’

ব্রাগা - একটি ছোট্ট শহর যেখানে অনেক কিছু ঘটে৷ আছে আধুনিক অবকাঠামো, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, অনেক স্টার্টআপ৷ ভাড়াও কম৷ আরও আছে আনন্দের অনেক আয়োজন৷

নাদিন ওসিনস্কি/জেডএইচ