1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ বাঁচাতে গিয়ে নিহত ১৬৪

৩০ জুলাই ২০১৯

পরিবেশ বাঁচাতে গিয়ে ২০১৮ সালে ১৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, গ্লোবাল উইটনেস নামের একটি এনজিও জানিয়েছে এই তথ্য৷ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিলিপাইন্স যেখানে ৩০ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন৷ গুয়েতামালাতেও এধরনের মৃত্যু বেড়েছে৷

https://p.dw.com/p/3N0fW
ছবি: CNCG

কৃষি, কাঠ এবং খনি খাতে গতবছর সহিংসতায় অন্তত ১৬৪ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন বলে গ্লোবাল উইটনেসের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে৷ মঙ্গলবার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এনজিওটি৷

আমাদের নিত্যদিনের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি এবং অন্যান্য কাঁচামালের জোগান নিশ্চিত করতে গিয়ে সৃষ্ট জটিলতাকে অনেক পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট নিপীড়নের শিকার হওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে গ্লোবাল উইটনেস৷ গবেষণা প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে বিবাদ সৃষ্টি করতে পারে এমন প্রকল্পে অর্থায়নের মাধ্যমে উন্নয়ন ব্যাংকের মতো বিনিয়োগকারীরাও সংঘাতে ঘি ঢেলেছে৷ 

‘‘ভূমি অধিগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত বিদেশি বহুজাতিকদের শুধুমাত্র অজ্ঞতার দোহাই দিলে হবে না৷ যেসব জমি অধিগ্রহণের ফলে তারা লাভবান হচ্ছে সেসব জমি যাতে বৈধভাবে অধিগ্রহণ করা হয় তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব৷ সেসব জমিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাসরত মানুষদের অনুমতি নিয়ে সেটা করতে হবে,'' গবেষণা প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে৷

গতবছর যেসব দেশে পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট নিহত হয়েছেন তার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন্স৷ দেশটিতে ২০১৮ সালে অন্তত ৩০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ অন্যদিকে, গুয়েতেমালায় আগের বছরের তুলনায় এধরনের মৃত্যুর হার বেড়েছে চার শতাংশ৷ ভারতেও এমন মৃত্যু বাড়ছে৷

জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক বিশেষ দূত ভিকি টউলি-করপুজ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এমন সংঘাত এক মানবাধিকার সংকট৷ আর এটা যারা স্থির পরিবেশের উপর নির্ভরশীল তাদের প্রত্যেকের উপরই এক হুমকি৷''

গবেষণায় অবশ্য আগের বছরের তুলনায় পরিবেশকেন্দ্রিক সহিংসতায় প্রাণহানি কম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ তবে, এই কমার পেছনে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে গণমাধ্যমের উপর সৃষ্ট চাপকে দায়ী করেছে এনজিওটি৷ গ্লোবাল উইটনেস মনে করে, অনেক প্রাণহানির ঘটনা এখন গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে না বলেই সংখ্যাটি কমেছে মনে হচ্ছে৷

এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)