পরিবেশবান্ধব রাতের ট্রেনে জার্মানি থেকে ক্রোয়েশিয়া
রাতের রেলে চড়ে জার্মানির মিউনিখ থেকে যাত্রা করে ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব শহরে গেলেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক লিসা স্ট্যুফে৷ অপুর্ব এ যাত্রার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা শুনুন তার মুখে৷
শত কিলোমিটারের নীরব যাত্রা
জার্মানির মিউনিখ শহরের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেন লিসা৷ প্রায় সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এ ট্রেনটি তাকে নিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়ার জাগ্রেব শহরে৷
ছোট ছোট কামরা
ছোট ছোট কামরায় রয়েছে এমন ছয়টি বিছানা অর্থাৎ ছয়জন যাত্রীর জন্য বরাদ্দ প্রতিটি কামরা৷ ভ্রমণে তেমন অসুবিধা হয়নি লিসার৷ কারণ তেমন যাত্রী ছিল না ট্রেনে৷ পরেরবার কী আর এমন ফাঁকা থাকবে, এই ভাবনা তার৷
ধীরে ধীরে পাহাড়ি পথে
পাঁচশ কিলোমিটারের এই পথটি যেতে সময় লাগে আট থেকে ১০ ঘণ্টা৷ রাতের অন্ধকারে পাহাড়ি পথ আর নিস্তদ্ধ বনের ভেতর দিয়ে ধীরে ধীরে সীমান্ত পাড়ি দিযে গন্তব্যে পৌঁছায় মিউনিখ থেকে ছেড়ে যাওয়া এ রাতের ট্রেনটি৷
আছে সামান্য নাস্তাও
ট্রেনের ভেতর বিছানায় শুয়ে রাতের আকাশ দেখে ক্লান্ত আপনি হয়তো ঘুমিয়ে গেলেন৷ আর ঘুম ভাঙার পর কিছু একটা থেকে ইচ্ছে করবে৷ ভাবনা নেই৷ চাইলেই আপনি কিনে নিতে পারেন এক কাপ গরম কফি আর সাথে ছোট্ট একটি কেক কিংবা রুটি৷
পরিবেশবান্ধব
রাতের এমন যাত্রায় একটু সময় লাগে৷ যেমন মিউনিখ থেকে জেবরাখের পাঁচশ ৫০ কিলোমিটার পথ যেতে আট থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে৷ তবে ভালো দিক হলো, ট্রেনের এই যাত্রা পরিবেশবান্ধব৷ যেমন এই ট্রেনটি প্রতি যাত্রী বহন করতে গিয়ে ২০ কিলোগ্রাম কার্বন্ডাই অক্সাইড খরচ করছে৷ এই পথ বিমানে যাত্রা করলে খরচ হতো একশ ৩০ কিলোগ্রাম৷
বাড়বে এমন ট্রেন
একটু আরাম করে যাওয়া যায় বলে অনেকেই চড়তে চান এই ট্রেনে৷ আর তাই পুরো ইউরোপ জুড়েই এমন ট্রেন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ আশা করা হচ্ছে, আসছে বছরগুলোতে ইউরোপের অন্তত ১৩টি বড় বড় শহরে যাত্রা করা যাবে রাতের এই ট্রেনে৷ এদিকে জার্মান সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে রাজধানী বার্লিন থেকে অন্তত দুটি বড় শহরে—প্যারিস ও ব্রাসেলস— যেতে এমন সেবা চালু করতে চায়৷