1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবারকে তালাবন্ধ রেখে ধর্ষিতার দেহ সৎকার করল পুলিশ

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

পরিবারকে ঘরে তালাবন্ধ করে ধর্ষিতার দেহ দাহ করল পুলিশ। উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে চরম অমানবিকতার অভিযোগ উঠল।

https://p.dw.com/p/3jCAn
ছবি: Reuters/A. Fadnavis

ফের উত্তর প্রদেশ পুলিশের কদর্য চেহারা বাইরে বেরিয়ে পড়ল। ১৫ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে হাথরসে ১৯ বছরের ধর্ষিতা নারীর। অভিযোগ, তাঁর দেহ বাড়িতেই নিয়ে যেতে দেয়নি পুলিশ। পরিবারের সকলকে ঘরে তালাবন্ধ করে রেখে রাত আড়াইটের সময় তাঁর দেহ সৎকার করেছে পুলিশ। যা নিয়ে নতুন করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

১৫ দিন আগে মা এবং ভাই বোনদের সঙ্গে ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন হাথরসের ওই দলিত কন্যা। সেখানেই চারজন উচ্চবর্ণের যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর তীব্র অত্যাচারও চালানো হয়। কেটে দেওয়া হয় জিভ। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি পুলিশ। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ এফআইআর গ্রহণ করে। চার অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়।

উত্তর প্রদেশে চিকিৎসায় সাড়া না দেওয়ায় ওই নারীকে দিল্লির এইমস-এ নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু তার পরেও বিতর্ক থামেনি। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর পরে দেহ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পরিবারের হাতে তা তুলে দেওয়া হচ্ছিল না। এর প্রতিবাদে থানার সামনে ধর্নায় বসে পড়েন ধর্ষিতার আত্মীয় এবং গ্রামের মানুষেরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেহ পরিবারের হাতে দিতে পুলিশ রাজি হয়। পরিবার জানিয়ে দেয়, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ধর্ষিতার দেহ সৎকার করা হবে না। এ নিয়ে ফের পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়।

এক সময় পরিবার দেহ সৎকারে সম্মত হয়। তবে তারা পুলিশকে জানায়, রাতে নয়, সকালে দেহ সৎকার করা হবে নিয়মরীতি মেনে। প্রাথমিক ভাবে সে কথা শুনে পুলিশ গ্রাম থেকে চলেও যায়। কিন্তু মাঝ রাতে ফের এলাকায় ফিরে আসে পুলিশ। গ্রামবাসী এবং পরিবারের সঙ্গে পুলিশের তীব্র বাদানুবাদ হয়। অভিযোগ, এর পরেই পরিবারের সকলকে বাড়িতে তালা বন্ধ করে ধর্ষিতার বাবাকে গাড়িতে তুলে শ্মশানে পৌঁছে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশই তাঁর দেহ সৎকার করে দেয়।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের কাছে ধর্ষিতার ভাই বলেছেন, ''পুলিশ ঠিক ভাবে দিদির দেহ সৎকার পর্যন্ত করতে দিল না।'' পুলিশ অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগ মানছে না। তাদের বক্তব্য, পরিবারের অনুমতিতেই তারা দেহ সৎকার করেছে। কিন্তু রাতের যে ফুটেজ মিলেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশকে সৎকারের অনুমতি দেয়নি পরিবার।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যোগী আদিত্যনাথের আমলে তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া এনকাউন্টারের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। দলিতের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও পুলিশের বিরুদ্ধে আছে। তবে মঙ্গলবারের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)