1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলে সংশোধনের জন্য ভারতে সরকারের ওপর চাপ

১৬ জুন ২০১০

ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে অসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলটি ফের সামনে এসে পড়েছে৷ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চলতি বৈঠকে বিলটির ব্যাপক সংশোধনের দাবি জানানো হয়৷

https://p.dw.com/p/Ns81
ভোপাল সংক্রান্ত মামলার রায়ের ফলে পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলের চরিত্র নিয়ে সংসদে প্রশ্ন উঠছেছবি: AP

সংসদে পেশ করার পর বিরোধীদের আপত্তিতে বিলটি খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয় সংসদীয় কমিটিতে৷

সংসদীয় কমিটির মতে, বিলের বর্তমান সংস্থান অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য যেসব বিদেশি কোম্পানি ভারতকে পরমাণু চুল্লি ও অন্যান্য সাজসরঞ্জাম সরবরাহ করবে, ভবিষ্যতে কোন ভুলত্রুটির দরুন দুর্ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে ঐসব সংস্থাগুলির দায়বদ্ধতা বিশেষ থাকবেনা৷ পরমাণু চুল্লি সরবরাহকারি বিদেশি সংস্থাগুলিকে সুবিধা দিতে সরকার প্রথমে ঐ বিলে যে সংশোধন করতে চেয়েছিলেন, গতকালের বৈঠকে তা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয় সরকারের তরফে৷ প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বিলের ১৭-খ ধারা তুলে নিতে চাওয়া হয়, যেখানে পরমাণু সরঞ্জাম সরবরাহকারীদের আইনি সুরক্ষার অধিকার দেবার কথা বলা হয়৷

১৭-খ ধারায় আছে, পরমাণু সরঞ্জামে কোন গলদ থাকলে কিংবা পরিষেবা প্রতিদানকারী সংস্থার কোন ত্রুটি বা তার কর্মচারিদের কোন ভুলভ্রান্তির ফলে পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটলে, তাদের আইনি সুরক্ষা পাবার অধিকার থাকবে৷ উল্লেখ্য, অতীতে চের্নোবিলসহ অন্যান্য যেসব পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটে তার অন্যতম কারণ ডিজাইনে গলদ৷ বিলের ৪৬নং ধারায় ক্ষতিপূরণের যে পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানে সেই পরিমাণ খুব সামান্য, মাত্র ৫০০ কোটি টাকা৷ এই পরিমাণ বাড়িয়ে যুক্তি সম্মত করার কথা বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা৷

প্রস্তাবিত সংশোধনের জন্য মার্কিন সরকারের চাপের কথা অস্বীকার করে পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্র সরকার নয়, রাশিয়া ও ফ্রান্স আন্তর্জাতিক ধাঁচের আইনের পক্ষপাতি৷ সংশোধনী নিয়ে সংসদীয় কমিটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন বুধবার৷ সামগ্রিকভাবে তাঁদের মত হলো, ভারতে দুর্ঘটনার শিকার হলে, ভারতীয় আদালত থেকে তাঁরা ততটাই সুরক্ষা পাবার অধিকারি, যতটা মার্কিন নাগরিকরা সেদেশের আদালতে পাবে৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন