1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটো রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ন্যাটো মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন শনিবার বলেছেন, পূর্ব-ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণ রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়৷

https://p.dw.com/p/Lucm
ন্যাটো মহাসচিব রাসমুসেনছবি: AP

শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেডভেদেভ নতুন সামরিক ডকট্রিন অনুমোদন করার প্রেক্ষিতে ন্যাটো মহাসচিব এই কথা বলেন৷

ন্যাটোর সম্প্রসারণকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে মনে করায় রুশ প্রেসিডেন্ট এই ডকট্রিনের অনুমোদন দেন৷ এসময় তিনি বলেন, রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার তাদের থাকবে৷

নতুন এই সামরিক ডকট্রিন অনুযায়ী, ইউরোপে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ার পরিকল্পনাকেও রাশিয়ার তার জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছে৷ এছাড়া, ২০০৮ সালের রাশিয়া-জর্জিয়ার যুদ্ধের মতো মস্কো আরো আঞ্চলিক সংঘাতের মুখে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ঐ ডকট্রিনে৷

প্রসঙ্গত, গত বছর রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান নিকোলাই পাতরুশেভ এই ডকট্রিনের সুপারিশ করেন৷ তবে এটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার কমিয়ে আনার ব্যাপারে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি চূড়ান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷

Sicherheitskonferenz in München
ন্যাটো মহাসচিব সম্মেলনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেনছবি: AP

শনিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ন্যাটো রাশিয়ার শত্রু নয়৷ তিনি বলেন, রাশিয়ার এই ডকট্রিন মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমা সামরিক জোটের সম্পর্ক উন্নয়নের পথে হুমকি হতে পারে৷

ন্যাটো মহাসচিব বলেন, তার জোট রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী ছিল, বিশেষ করে আফগানিস্তানে ন্যাটোবাহিনীর সঙ্গে রুশবাহিনীর সহযোগিতা আরও বাড়ানোর পক্ষে ছিল৷ রাসমুসেন বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি বজায় রাখতে তিনি রাশিয়ার আরো বেশী সংশ্লিষ্টতা আশা করেন৷ ন্যাটো মহাসচিব বলেন যে, তিনি মিউনিখ সম্মেলনে বিষয়গুলো নিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন৷

উল্লেখ্য, রাসমুসেন গত বছর যখন ন্যাটোর দায়িত্ব নেন তখনই জোটের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুব খারাপ ছিল৷ তাই দায়িত্ব নেয়ার পর দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি তিনি সর্ব্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন৷ এর ফলে বিষাক্ত নয় ন্যাটোর এমন অস্ত্র আফগানিস্তানে পৌঁছে দিতে রাশিয়া তার ভূমি ব্যবহার করতে ন্যাটোকে অনুমতি দিয়েছিল৷ এছাড়া আরো রুশ সৈন্য পাঠিয়ে ন্যাটো বাহিনীকে সহায়তা করতেও রাজী ছিল রাশিয়া৷

যদিও গত ডিসেম্বরে মস্কো সফরের সময় রাসমুসেন আরও হেলিকপ্টার ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য আরো সহায়তা চেয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে তাত্ক্ষনিক কোনো অঙ্গীকার পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ