1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটোর তালেবান বিরোধী অভিযানের প্রস্তুতি

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের হেলমন্দ প্রদেশে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়ক বাহিনী আইসাফ-এর এক বড় রকমের তালেবানবিরোধী সামরিক অভিযান আসন্ন, এই মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়ার মুখে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে বহু মানুষ৷

https://p.dw.com/p/LvxA
হেলমন্দ প্রদেশে ন্যাটো এর আগেও তৎপরতা দেখিয়েছে৷ছবি: AP

ঐ প্রদেশের মারজাহ এলাকায় শক্ত ঘাঁটি করে থাকা তালেবান জঙ্গিদের প্রতি আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটো৷

ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এরিক ট্রেম্বলে জঙ্গিদের প্রতি অস্ত্র সমর্পণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই অপারেশনের লক্ষ্য হল বিদ্রোহীদের জনসাধারণ থেকে পৃথক করা৷ তালেবান পক্ষ থেকে অবশ্য এই আহ্বানে সাড়া দেয়ার কোন লক্ষণ এখনও নেই৷ তাদের মুখপাত্র ইউসুফ আহমাদি কোন এক গোপন স্থান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি'কে টেলিফোনে জানান, তালেবান যোদ্ধারা বরং - তার কথায় - ‘‘তাদের অবস্থানে থেকে লড়াই চালিয়ে যাবে''৷

মারজাহ-র এই অপারেশনের নাম দেয়া হয়েছে মুশতারাক অর্থাৎ কিনা ঐক্যবদ্ধ৷ ইতিমধ্যে ভীত সন্ত্রস্ত পরিবাররা মারজাহ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছে৷ প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ রিসেপশন সেন্টার বসিয়েছে এবং প্রায় দশ হাজার মানুষের জন্য খাবার ও তাঁবি মজুদ করে রেখেছে৷ প্রাদেশিক শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিভাগের প্রধান গোলাম ফারুক নূরজাই জানিয়েছেন, ৪০০-রও বেশি পরিবার - প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ মানুষ প্রত্যাবাসিত হয়েছে৷ পালিয়ে আসা মানুষদের আশ্রয় দিতে প্রাদেশিক রাজধানী লাশকার গাহ-র দুটি স্কুল প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ প্রায় ৭০টির মত তাঁবুও মজুদ আছে৷

মারজাহ ছেড়ে সোমবারই লাশকার গাহ-তে চলে এসেছেন শির আলি খান৷ সঙ্গে ২৫ জন আত্মীয় পরিজন৷ তিনি বলেন, ঐ এলাকার ওপর দিয়ে বহু বিমান উড়ে যেতে দেখেছেন তাঁরা৷ চলাচল করছে বহু সৈন্য৷ তাই পালিয়ে এসেছেন তাঁরা৷ অবশ্য একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতে মারজাহ ছেড়ে চলে না আসে তার চেষ্টা করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা৷ মারজাহ যে জেলার অন্তর্গত সেই নাদ আলি-র গভর্নর হাবিবুল্লাহ বলেছেন, আমরা স্থানীয় সমাবেশের ব্যবস্থা করেছি৷ মানুষের কাছে অপারেশনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছি৷ তাদের বলছি, ঐ এলাকা ছেড়ে চলে আসার কোন প্রয়োজন নেই৷ তাদের কোন ক্ষতি হবেনা৷

তালেবানবিরোধী অভিযানে অংশ নিতে বেশ কয়েক হাজার বিদেশি ও আফগান সৈন্য মধ্য হেলমন্দ নদী উপত্যকা এলাকা বরাবর স্থান নিয়েছে বলে প্রকাশ৷ এই এলাকায় মারজাহ ব্যাপক আফিম চাষের জন্য পরিচিত৷ তালেবান জঙ্গিরা আফগান প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে এখানেই গড়ে তুলেছে তাদের শক্ত এক ঘাঁটি৷ বলা বাহুল্য, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আট বছর স্থায়ী লড়াই অবসানের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নয়া কৌশল বাস্তবায়নের জন্য অপারেশন মারজাহ তালেবান বড় এক পরীক্ষা সন্দেহ নেই৷

প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন