1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেবে রাশিয়া

১৯ অক্টোবর ২০১০

আগামী নভেম্বরে লিসবনে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেবে রাশিয়া৷ ভবিষ্যতে ইউরোপের নিরাপত্তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় ন্যাটো৷ কিন্তু কাদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করবে এটি?

https://p.dw.com/p/PhpF
বৈঠকে তিন শীর্ষ নেতাছবি: AP

ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেবে রাশিয়া

রাশিয়াকে ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে রাজি করাতে দভিলে এক বৈঠকের আয়োজন করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি৷ সেখানে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সোমবার এবং মঙ্গলবার দু'দিন তিন শীর্ষ নেতার মূল আলোচনায় ছিল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা৷ এই ব্যবস্থায় রাশিয়ার সহায়তা চায় জার্মানি এবং ফ্রান্স৷ চায় নভেম্বরে ন্যাটো সম্মেলনে রাশিয়ার অংশগ্রহণ৷ বৈঠকে মেদভেদেভ, লিসবনে ন্যাটোর সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন, আমি লিসবনে রাশিয়া-ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেবো৷ মেদভেদেভের কথায়, আমি মনে করি এভাবে ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার প্রয়োজনীয় সমঝোতা এবং আলোচনার পথ খোঁজা সম্ভব হবে৷

কাদের হুমকি মোকাবিলায় এই ব্যবস্থা?

সমস্যাটা এখানেই৷ ফ্রান্স গত সপ্তাহে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ বর্ম স্থাপনে দেশটির আপত্তির কথা জানিয়েছিল৷ এরপরই অবশ্য সেদেশের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, মূলত ইরান এবং ইরানের মতো শক্তিগুলোর হুমকি মোকাবিলায় এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা৷ অন্যদিকে রাশিয়ার আশঙ্কা হচ্ছে, রাশিয়ারই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় থাকা দেশগুলো রক্ষায় সম্ভবত এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা প্রকারান্তরে রাশিয়ার জন্যই হুমকি৷ তাই, প্রস্তাবিত এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় সেদেশ৷

আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্য, ইরান

মূল আলোচনা, ন্যাটোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে হলেও ছিল মধ্যপ্রাচ্য, ইরান ইস্যু৷ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে করণীয় নিয়ে সোমবার নৈশ ভোজে আলোচনা করেন তিন নেতা৷ এছাড়া বিতর্কিত পরমাণু ইস্যুতে ইরানকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইচ্ছা পূরণে সম্মত হবার আহ্বান জানান তাঁরা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক