নোবেল বিজয়ীদের সান্নিধ্যে তিন বাংলাদেশি
জার্মানির দক্ষিণের দ্বীপ শহর লিন্ডাউ-এ ৩০ জুন থেকে বসেছে নোবেল বিজয়ীদের মেলা৷ তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তিনজন সহ ৮০টি দেশের প্রায় সাড়ে ছয়শো তরুণ বিজ্ঞানী৷
৬৩ তম লিন্ডাউ সম্মেলন
জার্মানির দক্ষিণের ছোট্ট দ্বীপ লিন্ডাউ থেকে একদিকে অস্ট্রিয়া, আরেকদিকে সুইজারল্যান্ড দেখা যায়৷ অপরূপ সুন্দর এই শহরে সারা বিশ্ব থেকে আসা প্রায় সাড়ে তিনশো তরুণ বিজ্ঞানী আড্ডা দিচ্ছেন নোবেল পাওয়া ৩৪ বিজ্ঞানীর সঙ্গে৷ প্রতি বছর লিন্ডাউ-তে নোবেল বিজয়ীদের সঙ্গে তরুণদের এমন সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়৷ এবার তার ৬৩তম পর্ব৷ আর এবার এসেছেন রসায়নে নোবেল প্রাপ্ত বিজ্ঞানীরা৷
প্যানেল আলোচনা
৩০ জুন, ২০১৩’তে শুরু হওয়া লিন্ডাউ সম্মেলনে প্রতিদিনই নোবেল বিজয়ীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেকচার দিচ্ছেন৷ সেই সঙ্গে শুনছেন তরুণদের কথা৷ বিনিময় করছেন তাঁদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান৷ সম্মেলন চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত৷
বিশেষজ্ঞ বক্তব্য
ফ্রান্সের এই রসায়নবিদ জ্যঁ-মারি লেন ১৯৮৭ সালে নোবেল জয় করেন৷ লিন্ডাউ সম্মেলনে তিনি তরুণদের তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন৷
নোবেল বিজয়ী যখন বন্ধু
ছবিতে একজন নোবেলজয়ীকে কয়েক তরুণের সঙ্গে খাবার টেবিলে আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে৷ এর ফলে আরও অন্তরঙ্গভাবে গুণী বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মিশতে পারছেন তরুণ গবেষকরা৷
নিজেদের মধ্যেও আলোচনা
সারা বিশ্ব থেকে আসা তরুণ বিজ্ঞানীরা যে শুধু জ্ঞানী-গুণীদের কথা শুনছেন তাই নয়৷ তারা নিজেদের মধ্যেও যার যার গবেষণা নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন৷
মনোযোগী শ্রোতা
লিন্ডাউ সম্মেলনের প্রতিটি পর্বই দারুণ গুরুত্ব দিয়ে উপভোগ করছেন অংশগ্রহণকারীরা৷ কেননা অল্প বয়সে এতজন নোবেল বিজয়ীর কথা শুনতে পারাটা তাদের জন্য যেমন এক পরম পাওয়া, তেমনি উৎসাহমূলকও৷
বাদ নেই বিনোদনও
লিন্ডাউ সম্মেলনে যে শুধু গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়েই আলোচনা হচ্ছে তা নয়৷ অংশগ্রহণকারীদের উজ্জীবিত রাখতে ও তাদের মনে প্রাণের সঞ্চার জাগাতে আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও৷
লিন্ডাউ-তে বাংলাদেশ
বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানীরাও অংশ নিচ্ছেন লিন্ডাউ সম্মেলনে৷ এবার এসেছেন তিনজন৷ এর মধ্যে একজন ড. আবু বিন ইমরান৷ তিনি বুয়েটের একজন সহকারী অধ্যাপক৷ জাপানে পিএইচডি করার সময় তিনি এক বিশেষ ধরনের জেল উদ্ভাবন করেন, যেটা রোগ নির্ণয় ও হাড়ের তরুণাস্থি চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবে৷
চিংড়ির খোসা দিয়ে চর্বি কমানো!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়ন বিষয়ে পড়াশোনা করা তসলিম উর রশিদ এর গবেষণার বিষয় চিংড়ির খোসা৷ তিনি খোসায় থাকা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থেকে এমন একটি বিষয় উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন যেটা চর্বি জাতীয় খাবার খেলেও তার ক্ষতির পরিমাণটা কমাতে সহায়তা করবে৷
পিতামাতার পরিচয় খোঁজা আরও সহজ হবে
মো. নুরুজ্জামান খান হীরা বর্তমানে জার্মানির হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত আছেন৷ তাঁর গবেষণার বিষয় বায়োলজিক্যাল চিপ, যেটা দিয়ে রোগ নির্ণয় সহ আরও অনেক কাজ সহজ ও কম খরচে করা যাবে৷