1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ফিরলো নেপালি তনয়া

২৬ জুলাই ২০১৭

১৫ বছর বয়সের বিভসি রানাকে ডুইসবুর্গে তার স্কুলের ক্লাসরুম থেকে টেনে বার করে নেপালে ফেরৎ পাঠানো হয়েছিল৷ এবার সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে জার্মানিতে ফিরতে পেরেছে৷

https://p.dw.com/p/2hAZf
Deutschland Demonstration in Duisburg für die Rückkehr der abgeschobenen Schülerin Bivsi Rana
ছবি: Imago/Reichwein

মে মাসের শেষের ঘটনা৷ অভিবাসন কর্মকর্তারা বিভসি রানাকে যখন ক্লাসরুম থেকে টেনে বার করে তার ও তার বাবা-মায়ের বহিষ্কারের আয়োজন করেন, তখন প্রধানত বিভসি-র ক্লাসের সহপাঠী ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে৷ তারা মিছিল বার করে, ধর্না ও ধর্মঘটের আয়োজন করে৷ বিভসি-র সহপাঠী ও তাদের অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাড়া শিল্পনগরী ডুইসবুর্গের বহু নাগরিকও শহরের মেয়র ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিভসি-র মামলায় কিছু একটা করার আবেদন জানান৷

পথপ্রতিবাদ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সব বাধা দূর হতে দু'মাস সময় লেগেছে, কিন্তু অবশেষে বিভসি রানা-কে একটি ‘এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্ট ভিসা' দেওয়া হয়েছে, যার কল্যাণে তার বাবা-মাও জার্মানিতে ফিরতে পারবেন৷ এছাড়া বিভসি পরে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তরোত্তর ভিসার আবেদন করতে পারবে৷

‘‘এটি একটি একক ঘটনা, এ থেকে কোনো সাধারণ সিদ্ধান্ত করা উচিত নয়'', বলেছেন নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যে বিদেশি-বহিরাগতদের জার্মান সমাজে অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত ‘ইনটেগ্রেশান' মন্ত্রী ইওয়াখিম স্টাম্প৷ ‘‘এই সিদ্ধান্তের পুরোভাগে ছিল শিশুটির অধিকার৷ বিভসি-র জন্ম জার্মানিতে এবং সে এখানে বড় হয়েছে – বস্তুত সে একটি জার্মান শিশু'', বলে স্টাম্প মন্তব্য করেন৷

Deutschland Duisburg - Schüler , Eltern und Lehrer demonstrieren für die Rückkehr der abgeschobenen Schülerin Bivsi Rana
ছবি: Imago/C. Reichwein

বৈধ কিন্তু অন্যায়

বিভসির বাবা-মা জার্মানিতে আসেন ১৯৯৮ সালে৷ বারংবার আপিল করা সত্ত্বেও তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন অগ্রাহ্য হয়৷ কাজেই রানা পরিবারের বহিষ্কার পুরোপুরি বৈধ ছিল৷

বহিষ্কারের বৈধতা সত্ত্বেও বিভসির স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ, ডুইসবুর্গের মেয়র স্যোরেন লিঙ্ক, নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি মন্ত্রী ইওয়াখিম স্টাম্প ও রাজ্যের পিটিশন কমিটি, সকলেই জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এই অন্যায়ের প্রতিকার করার আবেদন জানান৷

ডুইসবুর্গের মেয়র লিঙ্ক বলেছেন যে, বিভসির স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের আয়োজন করেছে ও তাদের সহপাঠীর প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্দোলন চালিয়েছে, তাতে তিনি বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়েছেন৷ তাঁর মতে ফেডারাল সরকারকে এমন আইন প্রণয়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে স্থানীয় প্রশাসন রানাদের মতো পরিবারদের বহিষ্কার করতে বাধ্য না হয়৷

Deutschland Demonstration in Duisburg für die Rückkehr der abgeschobenen Schülerin Bivsi Rana
বিভসির স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ডুইসবুর্গ রাজ্যের মেয়র স্যোরেন লিঙ্ক ছবি: Imago/Reichwein

রাজ্যের নতুন সিডিইউ-এফডিপি সরকারের মুক্ত গণতন্ত্রী ‘ইনটেগ্রেশান' মন্ত্রী স্টাম্প বলেছেন যে, এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়: যারা জার্মান সমাজের সঙ্গে ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে, তাদের গ্রহণ করা প্রয়োজন৷

স্টাম্প বলেন, ‘‘যারা ভালোভাবে সমাজের সঙ্গে মিশে গেছে, তাদের এখানে থাকার একটা নির্ভরযোগ্য সম্ভাবনা দেওয়াটা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত৷ কাজেই যুগপৎ যারা জার্মান সমাজে অন্তর্ভুক্ত হতে অস্বীকার করছে বা অপরাধীদের নিয়মিতভাবে বহিষ্কার করা উচিত৷''

এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, ইপিডি, কেআএনএন)