নেতৃত্বের স্থানে পৌঁছতে চায় লিবিয়ার নারীরা
২৪ মে ২০১১লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের শহর বেনগাজি৷ সরকার বিদ্রোহীরা কুচকাওয়াজ করছে৷ আর মঞ্চে বসে তা দেখছেন ন্যাশনাল ট্রান্জিশন্যাল কাউন্সিল এর নতুন সদস্যরা৷ যেখানে ১৭ জন পুরুষের মধ্যে নারী রয়েছেন দুইজন৷
বেনগাজির স্থানীয় পরিষদের শিক্ষা বিভাগের প্রধান হানা এল-গালাল৷ নারীদের আরও অধিকার আদায়ের জন্য তিনি এই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলনে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ এবং নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছিলো৷ সেইসব নারীরা ছিলেন বহুভাষী৷ এবং তখন তাঁদেরকে স্বাগত জানানো হয়েছিল৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘কিন্তু এখন সেখানে প্রতিযোগিতা চলে এসেছে৷ আবার আমরা যেন সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে ফিরে গেছি যে, নারীদের পুরুষদের প্রতিযোগী হওয়া উচিত নয় এবং নেতৃত্বের স্থানে সবসময় পুরুষদের থাকা উচিত৷''
তবে প্রাচ্যের এই নারীরা এখন তাদের নিজেদের স্বাধীনতার কথা বলছে৷ রাজনৈতিক পটভূমিতে তাদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আনতে চাচ্ছে পরিবর্তন৷ চাইছে সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে৷
মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলনে বিদ্রোহীদের পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণের পর্যায়ে বিদ্রাহীদের প্রধান দফতরে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন নারীরা৷
একাধিক ভাষা জানার কারণে অনেক সময় গণমাধ্যমের সামনে প্রধান বক্তা হিসেবে দেখা গেছে তাঁদেরকে৷ যেখানে তাঁরা বলেছেন কী ধরণের নতুন এক লিবিয়া তাঁরা দেখতে চান৷ পুরুষ নেতাদের সঙ্গে এইসব বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতেও দেখা গেছে তাঁদেরকে৷
নারী আইনজীবীদের একটি গ্রুপ বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন৷ সালওয়া বুগাইঘিস তাঁদের অন্যতম৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এটা দেখে দু:খ পেয়েছিযে জাতীয় পরিষদে ৫০ জন সদস্যের মধ্যে নারী সদস্য মাত্র পাঁচজন৷ নারীদের নেতা হিসেবে উপস্থিত হওয়া বা ঊর্ধ্বতন কোনো পদের অধিকারী হওয়ার জন্য লিবিয়ার মানুষের মানসিকতার যে পরিবর্তন দরকার তার জন্য হয়ত আরো কিছু সময় লাগবে৷''
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক