1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নুরেমবার্গের কাছে ৩-২ গোলে হারল লেভারকুজেন

৮ মার্চ ২০১০

হোঁচট খেলেন বায়ার লেভারকুজেনের ভক্তরা৷ জার্মান ফুটবল লিগ বুন্ডেসলিগার চলতি মৌসুমে ২৫টি ম্যাচের মধ্যে রবিবার প্রথম হার মানতে হয়েছে লেভারকুজেনকে৷ ৩-২ গোলে হেরেছে নুরেমবার্গের কাছে৷

https://p.dw.com/p/MMa8
মাইন্স এবং হফেনহাইমের মধ্যে খেলার একটি উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তছবি: AP

আর এই পরাজয় লেভারকুজেনকে নামিয়ে দিয়েছে তৃতীয় স্থানে৷ তাদের পয়েন্ট এখন ৫০৷ ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শাল্কে৷ আর ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ৷ শনিবার কোলনের সাথে ১-১ গোলে ড্র করার পর শীর্ষ স্থানটি মিউনিখের দখলে৷ অন্যদিকে, রবিবার লেভারকুজেনকে হারালো যে নুরেমবার্গ তারা রয়েছে ১৫তম অবস্থানে৷ সংগ্রহ মাত্র ২১ পয়েন্ট৷

লেভারকুজেনের ভাগ্যে এমন একটি পরাজয় ঘটানোর কৃতিত্ব অনেকাংশেই গেছে এরিক ম্যাক্সিম শোপো-মটিং'এর ঝুলিতে৷ কারণ প্রথম ৪২ মিনিটে এবং তার ৪ মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোলটিও করেন শোপো-মটিং৷ আর নুরেমবার্গের জয় নিশ্চিত করে ৫৫ মিনিটে দেওয়া মিখায়েল টাফারেজের গোল৷ অবশেষে ৬৬ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন স্টেফান কিসলিং৷ ৭৩ মিনিটে গোলের ব্যবধান আরেকটু কমাতে সক্ষম হন প্যাট্রিক হেলমেজ৷

লেভারকুজেনকে হারিয়ে খোশ মেজাজ নুরেমবার্গের কোচ ডিটার হেকিং বললেন, ‘‘আমাদের দিক থেকে এটা একটা চমৎকার ম্যাচ৷ তারা আসলেই খুব ভালো খেলেছে এবং জয় তাদের প্রাপ্য ছিল৷ যদিও শেষের দিকে তারা কিছুটা তাল হারিয়েছিল৷'' শোপো-মোটিং'এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ হেকিং বলেন, ‘‘শোপো-মোটিং আসলেই খুব ভালো খেলেছে৷ আমার প্রত্যাশাও ছিল যে, সে কোন এক সময় এই ধরণের ম্যাচ পেয়ে যাবে৷ আমি খুশি যে, আজকে এমনটিই ঘটলো৷''

শোপো-মটিং এরও এটি বড় পাওয়া৷ ২০ বছর বয়সি এই তারকা নিজেই বললেন যে, দুই গোল দেওয়ার পর নিজেকে বেশ মহান বলে মনে হচ্ছিল৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘দলের এই জয়ে আমি খুবই খুশি৷ গোল করাটা খুব সহজ ছিল না৷ কোচ বলেছিলেন যে, আমি প্রশিক্ষণে ভালো করেছিলাম এবং আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত৷''

দিনের অপর খেলায়, ১-০ গোলে মাইন্সের কাছে হেরেছে হফেনহাইম৷ খেলার ৬৯ মিনিটে করা অ্যারিস্টিডে বঁসের গোলটিই জয় এনে দেয় মাইন্সকে৷ তবে মাইন্স খুব একটা এগুতে পারেনি পয়েন্ট তালিকায়৷ ৩৫ পয়েন্টের সুবাদে তাদের অবস্থান নবম ঘরে৷ ৩ পয়েন্ট কম থাকায় ১১তম ঘরে রয়েছে হফেনহাইম৷

প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা : অরুণ শঙ্কর চৌধুরী