নিহত পোলিশ রাষ্ট্রপতির শেষকৃত্য চলছে
১৮ এপ্রিল ২০১০ক্রাকাউ শহরের সেন্ট মেরি গির্জায় নিহত রাষ্ট্রপতি ও তাঁর স্ত্রীর স্মরণে ধর্মীয় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ সেখানে উপস্থিত আছেন হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ৷ এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ভাভেল প্রাসাদে, যেখানে শুয়ে আছেন পোল্যান্ডের রাজা ও জাতীয় বীররা৷ পাথরের তৈরি কফিনে করে তাঁদের পাশেই শুইয়ে দেয়া হবে কাচিন্সকি ও তাঁর স্ত্রী মারিয়াকে৷
তবে ভাভেল প্রাসাদে জনসাধারণকে যেতে দেয়া হবেনা৷ শুধু কাচিন্সকির পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও বিদেশী নেতারা সেখানে যেতে পারবেন৷ তবে বাইরে বিশাল একটি স্ক্রীন বসানো হয়েছে, যেখানে সাধারণ জনগণ পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে পারবে৷
এর আগে একটি সামরিক বিমানে করে তাঁদের মরদেহ ওয়ারশ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্রাকাউতে৷ বিমানবন্দর থেকে কাচিন্সকির মরদেহ যখন গির্জায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন রাস্তার পাশে থাকা সাধারণ জনগণের কেউ ফুল ছিটিয়ে, কেউবা লাল-সাদা পোলিশ পতাকা উড়িয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান কাচিন্সকির প্রতি৷ এই জনগণের মধ্যে ছিলেন জাসলো শহরের মেয়র৷ তিনি বললেন, ‘‘এটা খুবই অন্যরকম একটা মুহূর্ত৷''
এদিকে বিশ্বের অনেক নেতাই উপস্থিত হতে পারেননি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে৷ কারণ আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরি থেকে উত্পন্ন হওয়া ছাইমেঘ৷ এর ফলে গত চারদিন থেকে ইউরোপে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ তাই মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা, ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি নিকোলা সারকোজি, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং উন-চানকে শেষ মুহূর্তে তাঁদের পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে৷
জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল পোলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী রাডোস্লাভ সিকোরোস্কি-কে ফোন করে শেষকৃত্যে থাকতে না পারার জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন৷ সিকোরোস্কি ম্যার্কলকে বলেছেন যে, তাঁরা এর কারণ বুঝতে পারছেন৷
তবে এই ছাইমেঘকে উপেক্ষা করে বিমানে করেই শেষকৃত্যে উপস্থিত হয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ৷ উল্লেখ্য, এই রাশিয়াতেই একটি বিমান দুর্ঘটনায় কাচিন্সকি সহ ৯৬ জন নিহত হয়েছিলেন৷ এছাড়া পোল্যান্ডের পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা রেল বা গাড়িতে করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন৷
প্রতিবেদন : জাহিদুল হক
সম্পাদনা : রিয়াজুল ইসলাম