1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি ইরানের

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সামরিক কুচকাওয়াজে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের দাফন করে হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান৷

https://p.dw.com/p/35PkG
Iran Trauerfeier nach dem Anschlag in Ahwas
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Noroozi

এই হামলার পেছনে যু্ক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে তেহরানের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন৷

ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাজে শনিবার সামরিক কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীদেরগুলিতে ২৪ জন নিহত হন৷ গত এক দশকে এটাই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা৷ ১৯৮০ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধ স্মরণে ওই কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছিল৷ আল-আহভাজেহ নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে৷

নিহতদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনে আহভাজের সারাল্লাহ মসজিদে সমবেত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ৷ সামরিক ও বেসামরিক লোকদের ইরানের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনগুলো বয়ে নিতে দেখা যায়৷

শোকার্তদের হাতে নিহতদের ছবির পাশাপাশি ‘আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব' ও ‘সন্ত্রাসবাদকে না বলো' লেখা ব্যানার দেখা যায়৷ ‘ইসরায়েল ও অ্যামেরিকা নিপাত যাক' স্লোগান দেন অনেকে৷

ইরানের এলিট সামরিক সংস্থা রেভোল্যুশনারি গার্ডের উপপ্রধান হোসেন সালামি সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সতর্ক করে বলেছেন, এই হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তেহরান৷

‘‘আমরা কেমন প্রতিশোধ নিই, তা আপনারা আগেও দেখেছেন৷ আপনারা দেখবেন, আমাদের জবাব হবে ধ্বংসাত্মক ও ভয়ানক এবং আপনারা যা করেছেন তার জন্য আপনাদের অনুতাপ করতে হবে,'' নিহতদের দাফনের আগে বক্তব্যে বলেন তিনি৷

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি রোববার এক বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তার মধ্যপ্রাচ্য মিত্রদের এই হামলা চালাতে প্ররোচিত করার অভিযোগ তোলেন৷ তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও দৃ্শ্যত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনকে ইঙ্গিত করেন৷

যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের বিরুদ্ধেও ইরানে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে৷ তেহরানে ওই দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের তলবও করা হয়েছিল৷

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এই হামলার নিন্দা জানিয়ছে৷ তবে তেহরান এর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিলে তা পরিস্থিতিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা৷

জার্মান দূতাবাসের কাউকে তেহরান তলব করেনি বলেও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে ছয় পরাশক্তির চুক্তি থেকে বেরিয়ে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর থেকেই বিরোধ চলছিল৷ তার মধ্যে এই হামলায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে৷

এএইচ/এসিবি (এপি/এএফপি/রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য