নিহতদের জন্য মোমবাতি মিছিল
ফ্লোরিডার স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার পর ওই দিন সন্ধে থেকেই স্কুলের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষক, অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা৷ নিহত বন্ধুদের স্মৃতিতে মোমবাতি মিছিলের আয়োজন হয়৷ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাঁদের ভেঙে পড়ার দৃশ্য৷
কান্নার রোল
বন্ধুদের স্মৃতিতে মোমবাতি নিয়ে মিছিল করছিলেন ওঁরা৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই কান্নার বাঁধ ভাঙে৷ এভাবেই হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গেছে আরো অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে৷ সকলের মুখেই প্রিয়বন্ধুদের হারানোর শোক৷
আলোর পথযাত্রী
শোকে মোমবাতি জ্বালানো পশ্চিমা বিশ্বে প্রচলিত রীতি৷ ফ্লোরিডাতেও তার অন্যথা হয়নি৷ ছাত্র-ছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলেই উপস্থিত হয়েছিলেন স্কুলের সামনে৷ হাতে মোমবাতি৷ সকলের চেহারাতেই তখনো আতঙ্ক৷
ভয়াবহ
দুপুরেই স্কুলে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ ঘটনা৷ বন্দুকধারী ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৭ জনের, যার অধিকাংশই ছাত্র৷ পরে পুলিশ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে৷
স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র
জানা গিয়েছে, ওই বন্দুকবাজ স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র৷ কিছুদিন আগে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়৷ কিন্তু কেন এমন কাজ সে করল, তা এখনো জানা যায়নি৷
নিহত শিক্ষাকর্মীরাও
শুধু ছাত্ররাই নয়, গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন শিক্ষাকর্মীরাও৷ ছাত্রদের পাশাপাশি তাঁদের নামও ঘুরেছে স্মৃতিতর্পণ করতে আসা ছাত্রছাত্রীদের হাতে৷
আর নয়
মোমবাতি মিছিলে যোগ দেওয়া বহু মানুষের হাতেই ছিল প্ল্যাকার্ড৷ সেখানে লেখা ‘আর নয়’৷ মার্কিন মুলুকে বন্দুকের ব্যবহার কমানোর জন্য বহুদিন ধরেই আন্দোলন করছে নাগরিক সমাজ৷
কার কথা কে শোনে
ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, অ্যামেরিকায় যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ কিন্তু কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? গত এক বছরে বারবার ঘটেছে এমন ঘটনা৷ সরকার কিছুই করে উঠতে পারেনি৷
ভয়, আতঙ্ক
অনেকেই বলছেন, মার্কিন সিভিল আন্দোলনের সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে৷ বস্তুত, সে সময় রাস্তাঘাটে যখন-তখন গুলি চলতো৷ আবার কি সে দিকেই যাচ্ছে মার্কিন সংস্কৃতি? প্রশ্ন তুলেছেন স্কুলে শোক প্রকাশ করতে আসা অনেকেই৷