1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আরও কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জোরালো হুমকি দিয়েছে৷ এদিকে চীন ও রাশিয়ার আপত্তিতে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের খসড়া আরও নরম করতে হচ্ছে অ্যামেরিকাকে৷

https://p.dw.com/p/2jgwZ
নিরাপত্তা পরিষদ নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে
ছবি: Reuters/A. Kelly

মার্কিন প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপাতেজাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উপর চাপ দিচ্ছে৷ সোমবার সব সদস্য সম্মত হলে এবার উত্তর কোরিয়ায় পেট্রোলিয়াম সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে৷ সেই সঙ্গে সে দেশ বস্ত্র রপ্তানিও করতে পারবে না৷ সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন-এর বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও তাঁর বিদেশ সফর বন্ধ করারও উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যামেরিকা৷

গত ৩রা সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ পরমাণু পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক স্তরে প্রবল চাপের মুখে পড়েছে৷ কিন্তু এ পর্যন্ত চীন ও রাশিয়ার আপত্তিতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অনেক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ এই দুই ভেটো শক্তির সম্মতি পেতে সাম্প্রতিক মার্কিন প্রস্তাবেও কিছু রদবদল করতে হচ্ছে৷ ফলে শেষ পর্যন্ত বস্ত্র রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা ছাড়া অন্য পদক্ষেপগুলি সম্ভবত দুর্বল অথবা পুরোপুরি বাতিল করা হতে পারে৷

চীন ও রাশিয়া পেট্রোলিয়াম সরবরাহ বন্ধ করার বিরোধিতা করছে৷ তাদের মতে, এর ফলে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে৷

নিরাপত্তা পরিষদে নতুন মার্কিন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে উত্তর কোরিয়া৷ সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ‘বেআইনি' প্রস্তাব অনুমোদন করাতে পারে, সে ক্ষেত্রে সে দেশকে উপযুক্ত মূল্য চুকাতে হবে৷ অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে এমন একাঝাঁক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যা তারা কখনো ভাবতে পারেনি৷ গোটা বিশ্ব সেই পরিণতি দেখতে পাবে বলে হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷

এদিকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের জন্য কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখছে দক্ষিণ কোরিয়া৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ তবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রস্তুতির আওতায় সমরসজ্জা বাড়িয়ে চাপের মুখে পড়ছে সৌল৷ বিশেষ করে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা মোতায়েন করায় চীন সে দেশের উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে৷ এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়েছে চীন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য