নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব ইরানের
২১ জুন ২০১০তবে তেহরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ওই দলের দুজনকে তারা ভিসা দেবে না৷
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ দীর্ঘদিনের৷ তারা বলছে, ইরান ভেতরে ভেতরে পরমাণু বোমা তৈরির কাজ চালাচ্ছে৷ যদিও ইরান বলে আসছে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ৷ এর ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন সর্বশেষ দফা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ইরান৷
পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে চলমান এই রেশারেশির মধ্যেই সোমবার ইরানের আনবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহী বলেন, ‘‘জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের দুজন আমাদের কাছে অপাংক্তেয়৷ কারণ তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছিলেন৷ আর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগেই তারা তথ্য ফাঁস করেছিলো৷''
ইরানের সংবাদ সংস্থা ইসনা এ তথ্য জানালেও কাকে কাকে ইরান ব্রাত্য করেছে, তা প্রকাশ করেনি৷ আর ইরানের তৎপরতার বিষয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ'র প্রতিক্রিয়া কী, তাও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি৷ তবে একজন কূটনীতিক নিশ্চিত করেছেন, তেহরান তাদের বক্তব্য আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থাটিকে জানিয়েছে৷
এদিকে আইএইতে ইরানি প্রতিনিধি আলী আসগর সুলতানিহ জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় জাতিসংঘ পরিদর্শক দলের যাওয়ার বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই৷ শুধু ওই দুজন ছাড়া৷ অন্যদের স্বাগতই জানাবে তেহরান৷
ইরানের নতুন এ পদক্ষেপ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাল্টা জবাব হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা৷ ইনস্টিউট ফর নিয়ার ইস্ট অ্যান্ড গালফ মিলিটারি অ্যানালাইসিস এর গবেষণা পরিচালক থিওডোর কারাজিক বলেন, এর মধ্য দিয়ে পাল্টাপাল্টি খেলা আবার শুরু হলো৷
ইরানের বিষয়ে আইএইএ গতমাসে এক প্রতিবেদনে বলেছিলো, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজটি দ্রুতলয়ে করছে, আর এ বিষয়ক কোনো প্রশ্নের সদুত্তরও দিচ্ছে না৷ এরপরই ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার তোড়জোড় শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র৷
নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় ইরানের পক্ষে যে দুটি দেশ ছিলো, তার একটি ছিলো ব্রাজিল৷ সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলসো আমোরিম সোমবার ভিয়েনায় এক সভায় বলেন, ‘‘ইরানের পরমাণু সঙ্কট অবসানে আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে বলে তিনি মনে করেন৷'' এখন দেখা যাক, দীর্ঘদিনের এ জট ছাড়াতে ব্রাজিল কী করতে পারে৷
প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক