1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিষিদ্ধ হতে পারেন স্মিথ ও ওয়ার্নার

২৬ মার্চ ২০১৮

ম্যাচে বল ট্যাম্পারিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার দুই সেরা ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার৷ দেশটির ক্রিকেট বোর্ড এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে৷ বুধবার জানা যাবে, এই দুই ক্রিকেটারের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2uz06
ছবি: imago/Action Plus

এরই মধ্যে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্টিভ স্মিথ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপটাউনে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করার পর এরই মধ্যে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা তাঁকে এক টেস্টের জন্য নিষিদ্ধ করেছে৷

ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের তৃতীয় দিন৷ বল ট্যাম্পারিংয়ের ঘটনা ধরা পড়ে টেলিভিশনের ক্যামেরায়৷ সেখানে দেখা যায়, ফিল্ডার ক্যামেরন ব্যানক্রফট হলুদ রঙের কিছু একটা ট্রাউজারের ভেতরে ঢুকাচ্ছেন৷ অভিযোগ ওঠে সেটি দিয়ে বল ঘষেছেন তিনি৷

এই ঘটনা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটছে পুরো অস্ট্রেলিয়া জুড়ে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রধান গণমাধ্যমগুলো সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে ক্রিকেটারদের৷ তাই এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সর্বোচ্চ সংস্থা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া৷ বুধবার এই তদন্তের ফল জানা যাবে৷

স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ রোববার এক বক্তব্যে তিনি টেস্ট দল ও ক্রিকেটের ইমেজ সংকটে পড়ায় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার জন্য বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান৷

‘‘যারা ‘ব্যাগি গ্রিন’ ক্যাপ মাথায় পরেন, সাধারণের কাছে তাদের সম্মান অন্তত রাজনীতিবিদদের চেয়ে বেশি৷ এই ঘটনা একটি বড় ধাক্কা৷’’ সাংবাদিকদের বলছিলেন টার্নবুল৷ 

‘‘যা ঘটেছে, তা ঠিক হয়নি৷ আমি দেখতে চাই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কী সিদ্ধান্ত নেয়৷’’

অস্ট্রেলিয়াতে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলোর একটি৷ মূল খেলোয়াড়রা বছরে কোটি কোটি ডলার কামান৷

এর আগে, অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক স্মিথ ও তাঁর ডেপুটি ডেভিড ওয়ার্নার কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলমান টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান৷ অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩০ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের চতুর্থ দিনই ১০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়৷ চার ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা৷

এদিকে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানান, তদন্ত চলছে৷ শেষ হলে জানা যাবে স্মিথ ও ওয়ার্নারের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে৷ ট্যাম্পারিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে স্মিথ দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ ২০১৫ সাল থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি৷

তিনি অপরাধ স্বীকার করার পর আইসিসি রোববার তাঁকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও পুরো ম্যাচ ফি জরিমানা করে৷

এদিকে, এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররাও৷ সাবেক অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বলেছেন, এই ঘটনা দলের জন্য ‘অসম্মানজনক’৷ ‘‘আমার মনে হয়, স্মিথ এখন হোটেল রুমে বসে কাঁদছে,’’ বলেন তিনি৷

সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন টুইটারে লেখেন, ‘‘আমি খুব খুশি হয়েছিলাম যখন এই তরুণকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু এই ঘটনা লজ্জাজনক৷’’

অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম বলছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিয়ম অনুযায়ী আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন ব্যানক্রফট, ওয়ার্নার ও স্মিথ৷ সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়৷ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে পারেন৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)