1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বোধ সমর্থকেরা ইংল্যান্ডকে হতাশ করেছে

১২ জুলাই ২০২১

ইংল্যান্ড আবারও পেনাল্টিতে হেরে গেলেও যারা টাইব্রেকারে ব্যর্থ হয়েছেন তারা মাথা উঁচু করে থাকতে পারেন৷ কিন্তু সহিংস ও নির্বোধ অল্প ‘সমর্থকের’ জন্য ইংলিশদের কিছু সাফল্য চাপা পড়ে গেছে বলে মনে করেন ডিডাব্লিউর ম্যাট পিয়ারসন৷

https://p.dw.com/p/3wMxd
ছবি: Paul Childs/Reuters

ওয়েম্বলিতে আমার কয়েক মিটার সামনে ইটালির গোলরক্ষক ডোনারুমা যখন ইংল্যান্ডের সাকার পেনাল্টিটা ঠেকিয়ে দিলেন তখন প্রথমেই আমার যা মনে হয়েছে তা প্রকাশযোগ্য নয়৷ দ্বিতীয় ভাবনাতে আমি পেনাল্টি বিষয়টাকে অভিশাপ দিয়েছি৷

এমন সব পরিচিত অনুভূতির কিছুক্ষণ পর আমার মনে আরেকটি অনুভূতির জন্ম হয়েছিল যেটা আরো উদ্বেগজনক ছিল: স্টেডিয়ামের বাইরে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হতে পারে৷

ম্যাট পিয়ারসন
ম্যাট পিয়ারসন

আসলেই তা হয়েছিল৷ স্টেডিয়াম থেকে হেঁটে বাস স্টপে যাওয়ার সময় ১৫ মিনিটে আমি দেখেছি এক ব্যক্তির উপর হামলা হয়েছে, তিনি রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন৷ যানজটে আটকে থাকা এক ব্যক্তির গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছিল৷

খেলা শুরুর আগে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হওয়া অনেক সমর্থকের আচরণও অদ্ভুত ছিল৷ তারা আকাশে কাচের বোতল, ক্যান, ব্যাগ, জুতা ইত্যাদি ছুড়ে মারছিলেন৷ এসব কাজের মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমের প্রকাশ হয় না, বরং এটা একে অপরের দিকে জিনিসপত্র ছুড়ে মারার মতো বিষয়৷

এছাড়া টিকিট না থাকা সত্ত্বেও কিছু সমর্থক স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেছেন৷ অনেকে সফলও হয়েছেন৷ পুলিশ ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷

টাইব্রেকারে গোল করতে না পারায় খেলা শেষে সামাজিক মাধ্যমে রাশফোর্ড, সাঞ্চো ও সাকাদের বর্ণবাদের শিকার হতে হয়েছে, যা একটি জঘন্য কাজ৷

ফাইনালে প্রিয় দলকে হারতে দেখা কঠিন৷ পেনাল্টিতে হারার বিষয়টি তার চেয়েও বেশি কঠিন৷ কিন্তু নিজ দলের সমর্থক হিসেবে বোতল ছুড়ে মারা, বর্ণবাদী আচরণ করা ব্যক্তিদের দেখা মনে অন্যরকম দুঃখ জাগায়৷ কোনো দলেরই এমন ‘সমর্থক’ প্রাপ্য নয়৷ বিশেষ করে এই ইংল্যান্ড দলের তো নয়ই৷

ম্যাট পিয়ারসন/জেডএইচ