1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘নির্বাচন সংবিধান মোতাবেকই হবে’’

সমীর কুমার দে, ঢাকা১৯ আগস্ট ২০১৩

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আবারো মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল৷ নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নিয়েই এখন চলছে বাকযুদ্ধ৷ ফলে শেষ পরিণতি সংঘাতের আশঙ্কাই করছেন দেশের সাধারণ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/19RxZ
The Prime Minister of Bangladesh Sheikh Hasina addresses a news conference with German Chancellor Angela Merkel, not seen, after a meeting at the chancellery in Berlin, Tuesday, Oct. 25, 2011. (Foto:Markus Schreiber/AP/dapd)
ছবি: dapd

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বিকেলে হঠাত্‍ করে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধিরা সংবিধান সংশোধন করেছেন৷ আমি সংবিধানে বিশ্বাস করি৷ আগামী নির্বাচন নিয়ে যা কিছু হওয়ার তা সংবিধান মোতাবেকই হবে৷ এর থেকে একচুলও নড়বো না৷''

জবাবে রবিবার মধ্যরাতে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের এক বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘‘জনগণের আন্দোলনের মুখে তিনি নড়তে বাধ্য হবেন৷ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জাতির সঙ্গে রসিকতা, আপত্তিকর ও উসকানিমূলক৷''

প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ দুই নেতার এমন বক্তব্যে সামনের সময়ে রাজনৈতিক পরিবেশ যে সংঘাতময় হয়ে উঠছে তা এক প্রকার নিশ্চিত করেই বলা যায়৷ তাছাড়া ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে আন্দোলনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে৷ বৈঠকে অংশ নেতা ১৮ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, অক্টোবরের থেকে বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবে বিরোধী দল৷ এর আগে চলতি মাসে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ, সেপ্টেম্বরে ৭টি বিভাগীয় শহরে ৭টি মহাসমাবেশ করা হবে৷ অক্টোবরে চট্টগ্রামে একটা সমাবেশ করা হবে৷ এরপর ঢাকায় সর্বশেষ মহাসমাবেশে খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে টানা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন৷ এর আগে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে৷

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান বহির্ভূত নির্বাচনকালীন সরকারের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় দেশে অসাংবিধানিক বা অগণতান্ত্রিক কোনো কিছু আসবে না৷ তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ে সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ৷ এই নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন৷ নতুন সরকার প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশের সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা বিশ্বাসী৷ আশা করি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসমূহ অরাজকতা পরিহার করে নির্বাচনমুখী হবে৷'' দেশ ও নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের স্বার্থেই জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে বিএনপি তাতে অংশ নেবে না৷ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে মনে করে বিএনপি৷ দলের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে৷ সরকার নিজেই এর অপচেষ্টা চালাচ্ছে৷'' তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আদালতের রায় বিএনপি মানে না, প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, আদালতের দু'টি রায় ছিল৷ সরকার একটি মেনেছে৷ আরেকটি চেপে গেছে৷ সরকার দেশকে অন্ধকার সুড়ঙ্গে নিক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য