1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ

১ নভেম্বর ২০০৯

অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায় ভোট গ্রহণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি এই ঘোষণা দিলেন৷ তবে যথাসময়ে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷

https://p.dw.com/p/KKMm
ড. আবদুল্লাহ আবদুল্লাহছবি: AP

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৭ নভেম্বর৷ তবে মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের চ্যালেঞ্জার আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় আবারো অনিশ্চিত হয়ে পড়লো আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ৷ আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ দাবি করেছিলেন স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের প্রধান আজিজুল্লাহ লুদিনকে পদত্যাগ করতে হবে৷ নইলে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটও সুষ্ঠু হবে না৷ একইসঙ্গে কারজাই মন্ত্রিসভার চার সদস্যকেও বহিষ্কার করতে হবে যারা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন৷ শনিবারের মধ্যে এইসব দাবি পূরণ না হলে নির্বাচন না করার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ৷ কিন্তু কারজাই সরকার তার এই দাবি পূরণ না করায় সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার এই সিদ্ধান্তের আইনগত ফলাফল কি হবে সেটি পরের ব্যাপার, তবে আপাতত আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী ৭ই নভেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেব না৷

Flash-Galerie Wahlen Afghanistan
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পুনর্নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন কারজাইছবি: AP

তবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও সমর্থকদের কোন প্রতিবাদ কর্মসূচী থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছেন আবদুল্লাহ৷ তারা চাইলে ভোট দিতে পারেন সেটিও জানিয়েছেন তিনি৷

এদিকে কারজাই শিবির তাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জারের সরে দাঁড়ানোকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে৷ কারজাই এর প্রচারণা শিবিরের মুখপাত্র ওয়াহিদ ওমর বলেছেন, আমরা মনে করি নির্বাচন হতে হবে, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে হবে৷

এদিকে আফগানিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা দাউদ আল নাজাফি বলেছেন, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময়সীমা আগেই শেষ হয়ে গেছে৷ তাই কমিশন ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে৷ তবে নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার আশংকা রয়েছে৷ তালেবান জঙ্গিরা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে তারা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হতে দেবে না৷

উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রাথমিক পর্যায়ের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে৷ তদন্ত শেষে দেখা যায় হামিদ কারজাই ৪৯.৬৭ শতাংশ এবং আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ৩০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী