1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিল জার্মানি

২ এপ্রিল ২০১৯

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিল জার্মানি৷ এপ্রিল মাসের জন্য দায়িত্ব পাওয়া জার্মানি এই সময়ে বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতা নিরসন ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে দেশটির সরকার৷

https://p.dw.com/p/3G4av
ছবি: picture-alliance/dpa/B.v. Jutrczenka

সভাপতিত্বের মেয়াদকালে জার্মানি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলা সংঘাত নিরসনে দৃঢ় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷ সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি, সভাপতিত্বের মেয়াদকালে জার্মানি বিশ্ব্যাপী চলমান সংঘাত নিরসনে নিজের অবস্থান আরো দৃঢ় করার চেষ্টা চালাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ 

এদিকে গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের এক আলোচনাসভায় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত মানবতার সুরক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করা৷ নিরাপত্তা পরিষদের এ ভূমিকা সংঘাত নিরসনে সরাসরি ভূমিকা না রাখতে পারলেও পরিষদের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নিপীড়িত মানুষের কষ্ট লাঘবে সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷

আগামী দুই বছর মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যের দায়িত্ব পালন করছে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র জার্মানি৷ এরই অংশ হিসেবে এপ্রিল মাসে পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে দেশটি৷ তবে এ সময়টিতে বন্ধু রাষ্ট্র ফ্রান্সের সাথে ‘দ্বৈত সভাপতিত্বের' ঘোষণা দেয় জার্মানি৷

কেমন হবে দ্বৈত সভাপতিত্ব?

জার্মানি ও ফ্রান্স উভয়ই বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে৷ তবে জার্মানির এ সদস্যপদের মেয়াদ দু'বছরের জন্য অর্থাৎ অস্থায়ী সদস্যের ভূমিকায় আছে দেশটি৷ এদিকে ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য৷ 

পর পর দু'মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পায় দেশ দুটি৷ সে হিসেবে, মার্চ মাসে পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে ফ্রান্স৷ আর এপ্রিল মাসের জন্য এ দায়িত্ব লাভ করেছে জার্মানি৷ তবে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অংশ হিসেবে যৌথভাবে জাতিসংঘে একে অপরের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দেশ দুটি৷ দ্বৈত সভাপতিত্ব পরিচালনার বিষয়ে আখেন চুক্তি নামে এক সমঝোতায় পৌঁছে দু'দেশ৷ সে হিসেবে, মার্চ মাসের দায়িত্ব পালন শেষে ফ্রান্স জার্মানির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও পরিষদের সভাপতিত্বের মেয়াদকালে তেমন কোনো পরিবর্তন আনবে না জার্মানি৷

একই লক্ষ্য জার্মানি ও ফ্রান্সের

নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করতে চায় দেশ দুটি৷ এর মধ্যে রয়েছে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সহযোগিতা করা৷ এ লক্ষ্যে আফ্রিকার দেশ মালি ও বুর্কিনা ফাসোতে জাতিসংঘের শান্তি সহযোগিতা চালিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা৷ পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও কর্মীদের কার্যক্রম আরো সহজতর করার বিষয়েও একসাথে কাজ করতে চায় দেশ দুটি৷

এদিকে, বলকান অঞ্চলের অস্ত্র বাণিজ্য বিষয়ে আরো সতর্ক হতে চায় তারা৷ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলের অস্ত্র বাণিজ্যে লাগাম টানতে চায় তারা, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে বলে মনে করছে দেশ দু'টি৷

এছাড়া বিশ্বব্যাপী নারী উন্নয়ন, নারীদের রাজনীতিতে অধিক অংশগ্রহণসহ অন্যান্য সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে একসাথে কাজ করতে চায় জার্মানি ও ফ্রান্স৷

আরআর/জেডএইচ (ডিপিএ, কেএনএ, এএফপি)