নিরাপত্তা পরিষদের পদের জন্য প্রার্থী হল জার্মানি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রথম বক্তব্য রাখলেন জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী পদে নিজ দেশের প্রার্থীতার কথা জানিয়ে ভেস্টারভেলে বলেন, ‘‘জার্মানির পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে শান্তির নীতি৷ জার্মানি নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়৷ কারণ আমরা স্বাধীনতা এবং উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে অবদান রাখতে চাই৷''
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি দেশ স্থায়ী পদ লাভ করে৷ এরা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং চীন৷ এর বাইরে ১০টি করে দেশ দুই বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে৷ এবার জার্মানির পাশাপাশি ক্যানাডা এবং পর্তুগালও সদস্য পদের জন্য চেষ্টা করছে৷ আগামী মাসে এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে৷
জার্মানির অবদানের স্মরণ
নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী পদের জন্য জার্মানির প্রার্থীতার ব্যাপারে ভেস্টারভেলে তাঁর দেশের বিভিন্ন অবদানের কথা মনে করিয়ে দেন৷ তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতিসংঘকে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে জার্মানি হচ্ছে তৃতীয়৷ একই সঙ্গে তিনি চলমান বিশ্ব আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে জার্মানির সফলতার বিষয়টিও জানান৷ ভেস্টারভেলে আরও বলেন, ‘‘আপনারা জানেন যে অন্য দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ না করার একটি সংস্কৃতি আমাদের রয়েছে৷ একই সঙ্গে আমরা জানি যে জলবায়ু রক্ষাতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারবো৷''
উল্লেখ্য, অনেক দিন ধরে জার্মানির পাশাপাশি, জাপান, ব্রাজিল ও ভারত নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী পদ পেতে দেন দরবার করে আসছে৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভেস্টারভেলে তাঁর বক্তব্যে নিজ দেশের স্থায়ী পদে আগ্রহের বিষয়টিরও পুনরাবৃত্তি করেছেন৷
ব্রিটেনের সমর্থন
এদিকে জার্মানির স্থায়ী সদস্য পদের জন্য পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম দেশ ব্রিটেন৷ ব্রিটিশ উপ প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে জার্মানির পেছনে তাঁর দেশের স্পষ্ট সমর্থন রয়েছে৷ তবে ক্লেগ একই সঙ্গে বলেছেন যে জার্মানির পাশাপাশি জাপান, ব্রাজিল, ভারত এবং আফ্রিকা মহাদেশের একটি দেশকেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পদ দেওয়া উচিত৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী