1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা পরিষদের অ-স্থায়ী সদস্যপদ পেয়ে খুশি জার্মানি

Abdullah Al-Farooq১৩ অক্টোবর ২০১০

দুবছরের জন্য জার্মানি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অ-স্থায়ী সদস্য হিসেবে গৃহীত হল৷ এক সময়কার দুই জার্মানি ও পুনরএকত্রিত জার্মানি মিলিয়ে এই সদস্যপদ তার জন্য ষষ্ঠবারের মত৷

https://p.dw.com/p/PdWl
জার্মানিছবি: AP

এই দায়িত্ব তাকে দেবে বিশ্ব সংস্থায় নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভোট দেয়ার অধিকার৷ ভিটো প্রয়োগের অধিকার অবশ্য জার্মানির থাকবেনা৷ সে অধিকার শুধুমাত্র পাঁচ স্থায়ী সদস্য – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স আর চীনের৷ তবুও জার্মানির এই সদস্যপদ প্রাপ্তিকে খাটো করে দেখা চলেনা৷

জাতিসংঘের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থদাতা হল জার্মানি৷ তার স্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর জাপানের পরেই৷ একই সঙ্গে জার্মানি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম উন্নয়ন সাহায্যদাতা দেশ৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার দায়দায়িত্বগুলো সে অত্যন্ত একাগ্রতা আর সততা নিয়ে পালন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে৷ তবে নিরাপত্তা পরিষদের অ-স্থায়ী সদস্য হিসেবে জার্মানি শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ আর জলবায়ু পরিবর্তন রোধের মত বিষয়গুলোর ওপর আরো বেশি গুরুত্ব আরোপ করতে পারবে, জাতিসংঘের সাংগঠনিক সংস্কার প্রক্রিয়াকে জোরে শোরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে বেশি করে৷ তাছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে জার্মানির ইচ্ছার কথা অজানা নয়৷ সেটা এখনই ঘটবে বলে কেউ অবশ্য মনে করেনা৷

জার্মানি, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পর্তুগাল আর কলম্বিয়া এবার অ-স্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হল৷ এই দেশগুলো যাদের স্থান গ্রহণ করতে যাচ্ছে তারা হল জাপান, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক, মেক্সিকো আর উগান্ডা৷ ফলে নিরাপত্তা পরিষদ পুরোপুরি নতুন এক রাজনৈতিক চেহারা পাবে৷ জার্মানি, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা চায় নিরাপত্তা পরিষদের সাংগঠনিক সংস্কার৷ আর সেই সংস্কারের মাধ্যমে তারা নিজেদের জন্য স্থায়ী আসন কামনা করে৷ অ-স্থায়ী সদস্য হিসেবে তার দ্বিতীয় বছর শুরু করবে ব্রাজিল৷ সে নিজেও স্থায়ী সদস্যপদের দাবিদার৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতেরও একটা মর্যাদার আসন আছে৷ যার প্রমাণ - ১৮৭ ভোট পেয়েছে সে যাকিনা সবচেয়ে বেশি৷ নতুন যারা এলো তারা সংস্কারের পক্ষে জোর তৎপরতা চালাবে, এতে কোন সন্দেহ নেই৷ যেমন নবনির্বাচিত সদস্য পর্তুগাল বলে দিয়েছে, ব্রাজিলকে স্থায়ী সদস্য হিসেবে গ্রহণ করার পক্ষে তারা দরবার করবে৷ ব্রাজিল, ভারত আর চীনকে নিয়ে ব্রিক নামের যে জোট তার প্রতিনিধিত্ব থাকছে নিরাপত্তা পরিষদে, সেটাও গুরুত্বহীন নয়৷

জার্মানির রাজনৈতিক মহল খুবই খুশি৷ জার্মানি প্রথম রাউন্ডেই ১২৮ ভোট পেয়েছে যা কিনা প্রয়োজনীয় তিন-চতুর্থাংশ ভোটের চেয়ে একটি বেশি৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেন, এর মধ্য দিয়ে জার্মানির ওপর বিভিন্ন দেশের আস্থার প্রকাশ ঘটেছে৷ সেই আস্থার আরো প্রমাণ দিতে চায় সে নিরাপত্তা পরিষদের অ-স্থায়ী সদস্য হিসেবে৷

প্রতিবেদকঃ আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনাঃ সঞ্জীব বর্মন