1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী আসনে জার্মানি, ভারত

১২ অক্টোবর ২০১০

দুই বছরের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়েছে জার্মানি৷ এই আসনটি স্থায়ী না হলেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের৷ নির্বাচনের মাধ্যমে জার্মানি ছাড়াও পর্তুগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও কলম্বিয়া অস্থায়ী আসন পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Pcwj
জাতিসংঘের অধিবেশনে গিডো ভেস্টারভেলেছবি: picture alliance/dpa

জার্মানির প্রতিক্রিয়া

জার্মানির এই প্রাপ্তিতে সন্তুষ্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ বর্তমানে নিউ ইয়র্ক সফররত ভেস্টারভেলে জানান, এই অর্জন জার্মানির ওপর বিশ্বের আস্থারই প্রতিফলন৷ তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে আসন লাভ করলে দায়িত্ব বেড়ে যায়, একইসঙ্গে বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নে অনেক বেশি অংশগ্রহণের সুযোগও সৃষ্টি হয়৷

সহজেই উতরালো জার্মানি

পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য বেঁধে দেয়া দুটি উম্মুক্ত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জার্মানি, পতুর্গাল এবং ক্যানাডা৷ ১৯২ জাতির জাতিসংঘে জার্মানির পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি৷ ফলে নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডেই দুই বছরের আসন নিশ্চিত করে এই দেশ৷ অন্যদিকে, ভোটাভুটির দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্যানাডাকে পেছনে ফলে পর্তুগাল৷ ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর এই দুই প্রতিনিধি আগামী দু’বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়৷

অস্থায়ী আসনে ভারত

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামো সম্পর্কে একটুখানি বলা যাক এখানে৷ মোট ১৫টি আসন রয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে৷ এরমধ্যে পাঁচটি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী আসন৷ অস্থায়ী আসনে প্রতিবছর নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচটি দেশকে দু’বছর মেয়াদে সদস্য করা হয়৷ এবছর জার্মানি এবং পর্তুগাল ছাড়াও অস্থায়ী আসনে নির্বাচিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং কলম্বিয়া৷ এদের মধ্যে ভারতের পক্ষে ভোট পড়ে সবেচেয়ে বেশি, ১৮৭টি৷

স্থায়ী আসনের লড়াই

গণমাধ্যমের মতে, এই প্রাপ্তি স্থায়ী সদস্য হবার পথে জার্মানিকে আরো এগিয়ে নেবে৷ তাছাড়া জাতিসংঘের পরিকাঠামোগত যে সংস্কারের দাবি উঠেছে, সেখানে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর কথাও রয়েছে৷ ফলে স্থায়ী সদস্য হবার চেষ্টা অব্যাহত রাখছে জার্মানি৷ তবে আরো তিন দেশ রয়েছে প্রতিযোগিতায়৷ এরা হচ্ছে ভারত, ব্রাজিল এবং জাপান৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার