নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল, স্বীকার করল ফ্রান্স সরকার
১৮ মার্চ ২০১৯গত শনিবার আবার হলুদ জ্যাকেটধারী বিক্ষোভকারীদের রোষে স্তব্ধ হয় প্যারিস৷ ক্ষিপ্ত জনতা প্যারিসের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল শজ এলিজে-র চারদিকে আগুন লাগায় এবং ব্যাপক লুটপাটও করে৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছোঁড়ে৷ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোট ৮০টি দোকান৷
শনিবারের ঘটনার জেরে বর্তমানে প্রশ্নের মুখে পুলিশি তৎপরতা ও সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি৷
রবিবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদোয়ার্দ ফিলিপ একটি বিবৃতি দেন৷সেখানে তিনি বলেন, ‘‘গতকালের ঘটনায় নিরাপত্তার ঘাটতি ধরা পড়েছে৷ এর ফলে অনুচিত কাজ আটকানো যায়নি৷''
কর্তৃপক্ষের ব্যাপক নিন্দা হওয়ায় প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁক্রোও নিজের ছুটি স্থগিত রেখে ফিরে আসেন এবং শহরে তাণ্ডব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন৷
প্রশ্নবিদ্ধ কর্তৃপক্ষ
প্রায় তিন মাস ধরে চলমান এই বিক্ষোভের কী প্রভাব পড়েছে ফ্রান্সের অর্থনীতিতে, তা আলোচনা করতে সোমবারে একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লেমেয়ার৷
গত মাসে লেমেয়ার জানান, চলমান বিক্ষোভের ফলে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে৷ ফলে, এই পতন ঠেকাতেই বৈঠকের আয়োজন করেছেন তিনি৷
কিন্তু শনিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দু'টি সেনেট কমিটির মুখোমুখি হতে হবে লেমেয়ারকে৷
সেখানে তিনি ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টফ কাস্টানেরকে শনিবারের বিক্ষোভে নিরাপত্তার ঘাটতি বিষয়ে জবাবদিহি করতে হতে পারে৷
এসএস/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)