1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজের হাতে কিছু বানানোর মজা

২৪ জানুয়ারি ২০১৭

নিজের হাতে কিছু বানানোর মজাই আলাদা৷ হতে পারে সেটি বইয়ের আলমারি কিংবা জুতা রাখার কিছু একটা৷ নিজের আইডিয়া থেকে বানানো হয় বলে জিনিসটা হয়ে ওঠে অনন্য৷ বার্লিনে এক ওয়ার্কশপে গিয়ে অংশগ্রহণকারীরা এমনই কিছু বানাতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/2WFUe
কাঠের ফার্নিচার
ছবি: DW/H.Mund

নিজের হাতে কিছু বানানোর মজা

প্রত্যেক দ্বিতীয় রবিবার বিকেলে বার্লিনের ব্র্যোয়ান মিউজিয়ামে ‘মেকার সানডে' নামক একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে চার ঘণ্টা সময়ের মধ্যে নিজের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেন অংশগ্রহণকারীরা৷

ডিজাইনার ইওহানেস কুনৎস ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেন৷ তিনি অংশগ্রহণকারীদের তাঁদের আইডিয়া বাস্তবায়নে সহায়তা করেন৷ কুনৎস বলেন, ‘‘কোনো কিছুর ডিজাইন করা থেকে শুরু করে কীভাবে এবং কোন উপকরণ ব্যবহার করে সেটি তৈরি করা যেতে পারে সে ব্যাপারে আমি পরামর্শ দিয়ে থাকি৷ উপকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনটার কী সুবিধা সেটা আমি অংশগ্রহণকারীদের জানাই৷ তাছাড়া কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে এবং কোন যন্ত্র ব্যবহার করলে ভালো হবে সেই পরামর্শও দেই৷''

নিজের হাতে কিছু তৈরির ঐতিহ্য মানুষের অনেক দিনের৷ বিশ শতকের শুরুর দিকে ‘আর্ট ন্যুভ' অর্থাৎ ‘নতুন আর্ট'-এর যুগ শুরু হয়েছিল৷ পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানুষের হাতে অর্থের অভাব দেখা দিলে ‘ডু ইট ইওরসেলফ' বা ডিআইওয়াই আন্দোলনের সূচনা ঘটে৷

এরপর সত্তকের দশকে কনজিউমারিজমের বিরুদ্ধের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয় ডিআইওয়াই৷ বর্তমানে মানুষ অনন্য কিছু তৈরির আশায় নিজেই কাজে হাত লাগায়৷

ব্র্যোয়ান মিউজিয়ামের পরিচালক টোবিয়াস হোফমান বলেন, ‘‘এটা এখন আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে উঠছে৷ আমরা আবার লাইফস্টাইল মুভমেন্টের দিকে যাচ্ছি৷ আমরা এখন শুধু দোকান থেকে জিনিস না কিনে নিজেই বানাচ্ছি৷ ফলে আমরা এমন কিছু পাচ্ছি যেটা আর কারও নেই৷ এছাড়া বিশ্বায়নের কারণে পণ্য প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা দেখা দিচ্ছে৷ ফলে নিজে কিছু তৈরির মাধ্যমে মানুষ তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷''

ডানিয়েলা শ্প্যাথ/জেডএইচ

বন্ধু, আপনিও কি নিজের হাতে কিছু বানাতে পারেন? তাহলে লিখুন আমাদের, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান