1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সন্তানের নাম দেয়ার নিয়ম

২৭ অক্টোবর ২০১৭

জার্মানিতে আপনি আপনার সন্তানের নাম যা খুশি তাই রাখতে পারবেন না৷ নাম হিসেবে ‘গডসগিফট’ ঠিক আছে, কিন্তু শয়তানের সঙ্গে তুলনীয় কোনো নাম চলবে না৷ তবে শুধু জার্মানি নয়, বিশ্বের আরো অনেক দেশে নাম নিয়ে কড়াকড়ি রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2mcrs
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Grubitzsch

জার্মানির কাসেল শহরের নাম নিবন্ধন কর্মকর্তা সম্ভবত নামটি দেখে আঁৎকে উঠেছিলেন৷ এক দম্পতি তাদের সন্তানের নাম দিতে চেয়েছিলেন লুসিফার৷ নিবন্ধন কর্মকর্তা এই নাম সন্তানের জন্ম সনদে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন৷ কিন্তু বাবা-মাও নাছোরবান্দা৷ ফলে বিষয়টি গড়ায় আদালত অবধি৷

শেষমেষ অবশ্য বাবা-মা মেনে নেন যে, তাদের সন্তানের এমন কোনো নাম রাখা উচিত হবে না যেই নাম বিশ্বের অনেক দেশে শয়তানের নাম হিসেবে বিবেচিত৷ ল্যাটিন শব্দ ‘লুসিফার’-এর সত্যিকারের অর্থ হচ্ছে ‘সকালের তারা’৷ কিন্তু বর্তমানে এই নামটি শয়তানের প্রতিশব্দ৷ ফলে লুসিফারের বদলে লুসিয়ান নামটি মেনে নেন সেই দম্পতি৷

যদিও জার্মানিতে সন্তানের নাম প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি নেই, তবে জন্ম নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ চাইলে নির্দিষ্ট কিছু নামের ব্যাপারে তাদের আপত্তি জানাতে পারে৷ আর জন্ম সনদে নাম যোগ করার অধিকার একমাত্র তাদেরই রয়েছে৷ ফলে তাদের আপত্তি আমলে নিয়ে অনেকক্ষেত্রে নাম পরিবর্তন করতে হয় কিংবা সেই নামের উপযুক্ততা যুক্তি সহকারে বোঝাতে হয়৷

অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য জার্মান লেঙ্গুয়েজ (জিএফডিএস) জার্মান নবজাতকদের দেয়া নামের তালিকা সংগ্রহ করে৷ ২০১৬ সালে এই তালিকায় এক মিলিয়নের বেশি নাম যুক্ত হয়েছে যেগুলো আসলে সেই বছর জন্ম নেয়া ৯৭ শতাংশ শিশুর নাম৷ এসব নামের মধ্যে মেয়েদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম হচ্ছে মারি, সোফি এবং সোফিয়া৷ অন্যদিকে, ছেলেদের জনপ্রিয় তিন নাম হচ্ছে ইলিয়াস, আলেক্সান্ডার এবং ম্যাক্সিমিলিয়ান৷

তবে সন্তানের নাম দেয়ার ক্ষেত্রে জার্মানির চেয়েও কড়া নিয়মকানুন অনুসরণ করে আইসল্যান্ড৷ সেদেশে সন্তানের নাম নির্ধারনের জন্য পিতামাতাকে মেয়েদের ১,৮৫০টি নাম এবং ছেলেদের ১,৭০০ নামের তালিকা ধরিয়ে দেয়া হয়৷ এরপর সেই তালিকা থেকে বেছে নিতে হয় একটি নাম৷ যদি কারো এই তালিকার বাইরের কোনো নাম সন্তানকে দিতে ইচ্ছা হয়, তাহলে সেজন্য আইসল্যান্ডিক নেমিং কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে৷ কমিটি প্রস্তাবিত নাম তখনই বিবেচনায় আনবে যখন সেই নামের অক্ষরগুলো শুধুমাত্র আইসল্যান্ডিক বর্ণমালায় হবে৷

নাম নিয়ে জটিলতা চীনাদেরও রয়েছে৷ চীনা ভাষায় অক্ষরের সংখ্যা সত্তর হাজারেরও বেশি৷ কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কম্পিউটার সব অক্ষর শনাক্ত করতে পারে না৷ সবমিলিয়ে ৩২,২০০ অক্ষর শনাক্ত করতে পারে৷ ফলে একজনের নাম হতে হবে কম্পিউটার শনাক্ত করতে পারে এমন অক্ষর দিয়ে, নতুবা তার ডিজিটাল পরিচয়পত্র মিলবে না!

কার্লা ব্লাইকার / এআই